• বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৬ পূর্বাহ্ন

দেশে সর্বোচ্চ বিদেশি কর্মী চীনের : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বুধবার, ১৪ জুন, ২০২৩

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছেন, বর্তমানে বাংলাদেশে বিশ্বের প্রায় ১১৫টি দেশের ২০ হাজার ৯৮৮ জন নাগরিক কর্মরত রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সংসদে সরকারি দলের সদস্য মো. মামুনুর রশীদ কিরনের টেবিলে উপস্থাপিত তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান।

মন্ত্রী জানান, ‘এ দেশে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের মধ্যে ৬ হাজার ৭৫ জন চায়নিজ, ৫ হাজার ৮৭৬ জন ভারতীয়, ২ হাজার ৪৬৮ জন রাশিয়ান, ১ হাজার ২৪৬ জন শ্রীলঙ্কান, ১২৪ জন দক্ষিণ কোরিয়ান, ৫৫৭ জন জাপানি, ৪১৬ জন পাকিস্তানি, ৪৬০ জন ফিলিপাইনো, ৩৯৯ জন থাই, ৩৭৮ জন বেলারুশ, ২৬৯ জন কাজাখস্তানি, ১৬৮ জন আমেরিকান, ১৩৯ জন কোরিয়ান, ১২৩ জন মালয়েশিয়ান ও ১০৮ জন ইন্দোনেশিয়ান নাগরিক রয়েছেন। তারা ওয়ার্ক পারমিট ও ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে কর্মরত রয়েছেন।

এ ছাড়া সরকারি দলের আরেক সদস্য আবুল কালাম আজাদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরও জানান, গ্যাং কালচারে জড়িয়ে পড়া অপরাধপ্রবণ ও বিপথগামী শিশু-কিশোরদের চিহ্নিত করে বাবা-মা ও অভিভাবকদের তত্ত্বাবধানে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার কার্যক্রম চলছে। সুনির্দিষ্ট কোনো অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ার প্রমাণ পাওয়া গেলে যথোপযুক্ত আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়মিত টহল দিচ্ছে।

একই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, স্থানীয়ভাবে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও অনলাইনভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে সক্রিয় কিশোর গ্যাংগুলোর তথ্য সংগ্রহ করে তাদের নিবৃত্ত করার কার্যক্রম চলছে।

বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য মুজিবুল হকের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, দেশের তরুণ ও যুবসমাজকে ইয়াবা ও অন্যান্য মাদক থেকে রক্ষার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। এ ঘোষণা বাস্তবায়নে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নিরলসভাবে কাজ করছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ অন্যান্য সংস্থা ২০২২ সালে ১ লাখ ৩১১টি মামলা ও ১ লাখ ২৪ হাজার ৭৭৫ জনকে অবৈধভাবে মাদক কারবারিকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯০-কে যুগোপযোগী করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ (সংশোধিত ২০২০) প্রণয়ন করা হয়। এ আইনে মাদক অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। তা ছাড়া মাদক কারবারির মূল হোতা ও গডফাদারদের যথাযথ শাস্তির বিধান করে এ আইনে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের বিধানটি সংযুক্ত করা হয়। শুধু মাদক কারবারিই নয়, এ আইনে মাদক অপরাধের পৃষ্ঠপোষক, প্ররোচনাদানকারী ও সহযোগীদের বিরুদ্ধেও কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। এ আইনের যথাযথ প্রয়োগে সর্বমহল সোচ্চার হলে সমাজে মাদক অপরাধ নির্মূল করা সম্ভব হবে। ভবিষ্যতেও বাস্তবতার নিরিখে আইনটি সংশোধন করার সুযোগ রয়েছে বলে জানান তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ