ছবি : সংগৃহীত
পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের জন্য গৃহীত ঋণের ৩য় ও ৪র্থ কিস্তি পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (১৯ জুন) আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারের অর্থ বিভাগের কাছে এ চেক হস্তান্তর করেন সেতু বিভাগের সচিব এবং বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক মো: মনজুর হোসেন।
এর আগে গত ৫ এপ্রিল ১ম ও ২য় কিস্তির মোট ৩১৬ কোটি ৯০ লাখ ৯৭ হাজার ৫০ টাকা পরিশোধ করা হয়। এর ফলে প্রথম বছরে সর্বমোট ৬৩২ কোটি ৯৩ লাখ ৩৬ হাজার ৬১৪২ টাকা পরিশোধ করা হলো।
২০২২ সালের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী পদ্মা নদীর ওপর দেশের সর্ববৃহৎ ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন।
ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলাকে রাজধানীর সাথে সরাসরি সংযুক্ত করবে এবং এটি জিডিপি প্রবৃদ্ধি এক দশমিক ২৩ শতাংশ ত্বরান্বিত করবে এবং দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মোট বরাদ্দ ছিল ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। তবে মূল সেতুর জন্য বরাদ্দ ছিল ১২ হাজার ১৩৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা (৪০০ কিলোভোল্ট বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ও গ্যাস লাইন স্থাপনের জন্য এক হাজার কোটি টাকাসহ)।
এ ছাড়া নদী প্রশিক্ষণ কাজের জন্য নয় হাজার চার শ’ কোটি টাকা, অ্যাপ্রোচ রোড (দুটি টোল প্লাজাসহ থানা ও তিনটি সার্ভিস এলাকার জন্য দু’টি ভবন নির্মাণ), বাস্তুচ্যুতদের পুনর্বাসনে (প্রকল্পের কারণে সৃষ্ট) এক হাজার ৫১৫ কোটি টাকা এবং ভূমি অধিগ্রহণে দুই হাজার ৬৯৮ কোটি ৭৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
পদ্মা সেতু এক শ’ বছরের বেশি স্থায়ী হবে বলে আশা করা হলেও আগামী ৩৫ বছরের মধ্যে এর নির্মাণ ব্যয় পুনরুদ্ধার করা হবে।