রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটগল্পের মতো, ভারত-পাকিস্তান সংকট যেন শেষ হইয়াও হইলো না শেষ! এশিয়া কাপের ভেন্যুকে কেন্দ্র করে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। এর মধ্যেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশের সমঝোতার খবর সামনে আসে। এশিয়া কাপের আয়োজক পাকিস্তানে খেলতে আপত্তি তুলেছিল ভারত। এজন্য হাইব্রিড মডেলের প্রস্তাব দেয় পাকিস্তান। ভারতের ম্যাচগুলো নিরপেক্ষ ভেন্যুতে আয়োজন করার প্রস্তাব জানায় তারা। সব জল্পনা-কল্পনার পর অবশেষে, পাকিস্তানের দেওয়া হাইব্রিড মডেল মেনে নেয় এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিতব্য ওয়ানডে বিশ্বকাপের সূচি এখনো চূড়ান্ত না হলেও বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির কাছে পাঠিয়েছে আয়োজক বিসিসিআই। সেই খসড়া সূচি অনুযায়ী, আহমেদাবাদ ছাড়াও নতুন করে আরও দুই ভেন্যুতে খেলতে আপত্তি জানিয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। ক্রিকেট পাকিস্তান ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
খসড়া সূচিতে লিগ পর্বে পাকিস্তানের ম্যাচগুলোর ভেন্যু- হায়দারাবাদ, আহমেদাবাদ, ব্যাঙ্গালুরু, চেন্নাই ও কলকাতায়। এর মধ্যে ১৫ অক্টোবর ভারতের বিপক্ষে আহমেদাবাদে খেলা রয়েছে পাকিস্তানের। আহমেদাবাদের ভেন্যুতে খেলতে চায় না বলে আগেই জানিয়েছিল পিসিবি। এবার নতুন করে আরও দু’টি ভেন্যু পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছে পিসিবি।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০ অক্টোবর ব্যাঙ্গালুরুতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলার সূচি রয়েছে পাকিস্তানের। কিন্তু অজিদের বিপক্ষে ব্যাঙ্গালুরুতে না খেলে চেন্নাইতে খেলতে চায় পাকিস্তান। ২৩ অক্টোবর চেন্নাইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলা রয়েছে পাকিস্তানের। চেন্নাইয়ের পরিবর্তে ব্যাঙ্গালুরুতে আফগানদের মুখোমুখি হতে চায় পাকিস্তান।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, চেন্নাইয়ের উইকেট স্লো এবং স্পিনার বান্ধব হলেও সেখানে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলতে চায় পাকিস্তান। কারণ অস্ট্রেলিয়া দলে সেরা মানের স্পিনার নেই। কিন্তু আফগানিস্তান দলে রশিদ খান, মুজিব উর রহমান এবং নূর আহমেদের মতো তারকা স্পিনার আছে। এজন্য চেন্নাইয়ের স্পিন বান্ধব উইকেটে আফগানদের বিপক্ষে খেলতে আগ্রহী নয় পাকিস্তান। তাই আফগানিস্তানের বিপক্ষে ব্যাঙ্গালুরুতে খেলতে চায় পাকিস্তান।
সূচি নিয়ে আপত্তি তুললেও, ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ খেলার নিশ্চয়তা এখনও দেয়নি পাকিস্তান। সম্প্রতি পিসিবি জানিয়েছে, বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ নির্ভর করছে সরকারের অনুমতির ওপর।