• মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩০ অপরাহ্ন

গরু বেচাকেনায় জনপ্রিয় হচ্ছে ‘লাইভ ওয়েট’

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ২০ জুন, ২০২৩

‘লাইভ ওয়েটে’ গরু বিক্রি জনপ্রিয় হচ্ছে

আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে হাট-বাজারে, খামারে ও অনলাইনে কোরবানির পশু বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে কোরবানির গরু কিনতে হাটের ভিড় এড়াতে চাইছেন অনেকে। অনলাইনে খুঁজছেন কোরবানির গরু। তাদের কথা মাথায় রেখে রাজবাড়ীতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ‘লাইভ ওয়েট’ পদ্ধতি। লাইভ ওয়েটের গরু কেজি দরে বিক্রি করছেন খামারি। ক্রেতা ও খামারি উভয়ই বলছেন, এই পদ্ধতিতে কেজি দরে পশু কিনলে ঠকার আশঙ্কা কম।

রাজবাড়ী সদর উপজেলার গৌরিপুরে গড়ে তোলা হয়েছে পদ্মা এগ্রো ফার্ম। এখানে ২০০ কেজি থেকে শুরু করে ৬০০ কেজি ওজনের অর্ধশত গরু রয়েছে। ফার্মটি গত বছর কোরবানির পশু ওয়েটে বিক্রি প্রথম শুরু করে। গত বছর শতভাগ সফলতার পর এবারও তারা ওই পদ্ধতিতে গরু বিক্রি করছে।

কোরবানির ঈদের বেশ কিছুদিন বাকি থাকলেও ইতোমধ্যে ক্রেতাদের আনাগোনা শুরু হয়ে গেছে। লাইভ ওয়েটের গরু ৫২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন পদ্মা এগ্রোর খামারি। একটি সাধারণ গরুর লাইভ ওয়েটের ৬০ শতাংশ মাংস পাওয়া যায় বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। এ ছাড়া হাড়, ভুড়ি, মাথার মাংসসহ বাড়তি আরও অংশ পাওয়া যায়।

গরু কিনতে আসা ক্রেতারা জানান, হাটে গরু কিনতে গেলে দালালসহ নানা রকমের মধ্যস্থভোগীদের ঝামেলায় পড়তে হয়। এ কারণে তারা নিরিবিলি পরিবেশে পছন্দমত গরুর সন্ধানে এই ফার্মে এসেছেন।

cow1

ফার্মে কর্মরত শ্রমিকরা জানান, এ ফার্মে পরিচ্ছন্ন পরিবেশে দেশি খাবারের মাধ্যমে গরু লালন-পালন করা হয়। গরু মোটাতাজাকরণের জন্য কোনও ওষুধ প্রয়োগ করা হয় না।

ফরিদপুর থেকে গরু কিনতে আসা ক্রেতা মাহবুব হোসেন বলেন, ‘লাইভ ওজনে গরু বিক্রি হয় শুনে কোরবানির জন্য গরু দেখতে এসেছি। আমার একটি গরু পছন্দ হয়েছে, এটিই কিনবো।

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে হাট থেকে গরু কিনতে গেলে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। তাছাড়া দালালরাও ঠকায়। সরাসরি এসে ওজন দিয়ে কোরবানির গরু কিনতে পেরে অনেক খুশি।

পদ্মা এগ্রো ফার্মের স্বত্বাধিকারী মনির হোসেন তালুকদার বলেন, ‘গত বছর আমরা প্রথম ওজনে গরু বিক্রি শুরু করি। সেবার ফার্মের সব গরুই বিক্রি হয়ে যায়। গত বছর আমরা ৪২৫ টাকা কেজি দরে গরু বিক্রি করেছিলাম। তবে এবার উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় ৫২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। ইতোমধ্যে কয়েকটি গরু বিক্রি হয়ে গেছে। আশা করি কোরবানির আগেই ফার্মের সব গরু বিক্রি হয়ে যাবে।

রাজবাড়ী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ফজলুল হক সরদার বলেন, ‘ওজন দরে গরু বিক্রির ধারণাটি নতুন হলেও বেশ চমৎকার। গরু কেনার একটি ঝামেলাবিহীন পদ্ধতি। ক্রেতাদের সুবিধার্থে লাইভ ওয়েটে অনেকেই বিক্রি করছে। তবে এই পদ্ধতিতে যদি ক্রেতারা সন্তুষ্ট না থাকেন সরাসরি দেখেও কিনতে পারেন। এ পদ্ধতিতে ক্রেতাদের ঠকার সুযোগ থাকছে না। সাধারণত ১০০ কেজি ওজনের একটি গরু থেকে ৬০ কেজি মাংস পাওয়া যায়। এটা মাথায় রেখেই মাপটা করতে হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ