চিনির দাম প্রতি কেজিতে সর্বোচ্চ ২৫ টাকা বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছেন মিল মালিকরা। এটিকে অযৌক্তিক, ভোক্তা স্বার্থবিরোধী, অন্যায় ও আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত দাবি করে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, গ্যাস বিদ্যুৎ পানির মূল্য দফায় দফায় বৃদ্ধিতে জনমনে যখন চরম উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। ঠিক সেই মুহূর্তে চিনির দাম কেজি প্রতি ২৫ টাকা বৃদ্ধি জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল। সরকার এই অনৈতিক ও অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি কার্যকর করলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ আরেক দফা বাড়বে। চিনির সঙ্গে জড়িত সব খাদ্যপণ্যের দাম কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।
বুধবার (২১ জুন) সংবাদ মাধ্যমে লেবার পার্টির দপ্তর সম্পাদক মনির হোসেনের পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. ইরান বলেন, চিনিকল মালিকদের এই সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক, ভোক্তা স্বার্থবিরোধী ও অন্যায়। তারা সরকারকে জিম্মি করে চিনির মূল্যবৃদ্ধির যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা জনগণ মেনে নেবে না। বাজারে বর্তমানে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে। সরকার খুচরা বাজারে চিনি বিক্রির জন্য প্রতি কেজি খোলা চিনি ১২০ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি ১২৫ টাকা নির্ধারণ করে। কিন্তু খুচরা বাজারে খোলা চিনি ১৩০ টাকা থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিল মালিক ও ডিলারদের কারসাজিতে এখন প্যাকেটজাত চিনি খোলা বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন ভোক্তাদের অবস্থা চিন্তা করে চিনিকল মালিক সংগঠনের এই মুনাফালোভী সিদ্ধান্ত কার্যকর না করে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত দামেই খুচরা বাজারে খোলা চিনি ও প্যাকেটজাত চিনি বিক্রির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। দাবি অনুযায়ী চিনি আমদানি থেকে শুল্ক প্রত্যাহার ও হ্রাস করার পরও দাম বাড়ানোর এই দাবি অযৌক্তিক ও অন্যায্য। আমরা মিল মালিকদের এই ভোক্তা স্বার্থপরিপন্থি সিদ্ধান্ত ২২ জুন থেকে কার্যকর না করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাই।