• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৭ পূর্বাহ্ন

গাইবান্ধায় প্রাথমিকে ৩৬৬ শিক্ষকের পদ শূন্য

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : শনিবার, ৮ জুলাই, ২০২৩

দীর্ঘদিন ধরে গাইবান্ধার সাত উপজেলার ১ হাজার ৪৬৬ বিদ্যালয়ে ৩৬৬ জন শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এরমধ্যে প্রধান শিক্ষক ১৩৫ জন ও সহকারী শিক্ষক ২৩১ জন। এতে করে বিঘ্নিত হচ্ছে এসব বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাত উপজেলার এসব বিদ্যালয়ে চার লাখ ৩৩ হাজার ৬৭৯ ছাত্রছাত্রী অধ্যয়নরত। প্রধান শিক্ষক না থাকা বিদ্যালয়গুলোতে একজন সহকারী শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি দাপ্তরিক ও প্রশাসনিক কাজ করেন। শিক্ষকের সংকট থাকায় এসব বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক অসুস্থ হলে অথবা মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকলে তখন দায়িত্বরত শিক্ষকদের পাঠদানে হিমশিম খেতে হয়।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলার ১ হাজার ৪৬৬ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৩৫টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। এরমধ্যে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ২১ জন, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ২২ জন, সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ২৮ জন, পলাশবাড়ী উপজেলায় ১৩ জন, সাদুল্লাপুর উপজেলায় ১৭ জন, ফুলছড়ি উপজেলায় ১১ জন ও সাঘাটা উপজেলায় ২৩ জন।

অন্যদিকে, জেলার দুই শতাধিক বিদ্যালয়ে ২৩১টি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এরমধ্যে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ৪৯ জন, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ৫৮ জন, সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ৩৫ জন, পলাশবাড়ী উপজেলায় ২৫ জন, ফুলছড়ি উপজেলায় ১৪ জন, সাদুল্লাপুর উপজেলায় ২৯ জন ও সাঘাটা উপজেলায় ২১ জন।

ফুলছড়ি উপজেলার জিগাবাড়ি চরের অভিভাবক জরিপ উদ্দিন মণ্ডল জাগো নিউজকে বলেন, বিদ্যালয়ে প্রয়োজনীয় শিক্ষক নাই। শিক্ষক সংকটের কারণে বিদ্যালয়গুলোতে তেমন একটা পড়াশুনা হচ্ছে না। ছেলে মেয়েদের পড়াশুনা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সুন্দরগঞ্জ উপজেলার এক সহকারী শিক্ষক জানান, বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। বিদ্যালয়ে পাঠদানের পাশাপাশি প্রশাসনিক কাজে উপজেলা কর্মকর্তার কার্যালয়ে যেতে হয়। এসব কারণ একদিন পাঠদান করি, আরেকদিন প্রশাসনিক কাজে সময় দিতে হচ্ছে। এতে করে কোন দায়িত্বই সঠিকভাবে পালন করতে পারছি না।

গাইবান্ধা সদর উপজেলার আরেক সহকারী শিক্ষক বলেন, তিনজন সহকারী শিক্ষক দিয়ে চলছে আমাদের বিদ্যালয়ের কার্যক্রম। এরমধ্যে একজন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে আছেন। তিনি উপজেলা কর্মকর্তার কার্যালয়ে গেলে দুইজনই সব সামলাতে হয়। পাঁচটি শ্রেণির পাঠদান করতে হিমশিমে পড়ে যাই।

এবিষয়ে গাইবান্ধা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হারুনর রশিদ জাগো নিউজকে বলেন, প্রধান ও সহকারী শিক্ষকরা অবসরে যাওয়ার কারণে পদ শূন্য হচ্ছে। এছাড়াও নতুন করে যাদের শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়, তাদের অনেকই ব্যাংকে বা ভালো চাকরি পেলে রিজাইন দিয়ে চলে যায়। ফলে ওই পদগুলো শূন্য হচ্ছে। তবে প্রধান শিক্ষক যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই, সেখানে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে সহকারী শিক্ষকদের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অবগত। আশা করি শীঘ্রই এ সংকটের সমাধান হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ