একই দিনে রাজধানীতে দেশের বৃহৎ দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশ। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ শুরু হয়েছে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে বিকেল ৩টায় এবং নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে বিএনপির সমাবেশ শুরু হয়েছে দুপুর ২টায়।
সমাবেশের কারণে সকাল থেকে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে অসংখ্য গাড়ি প্রবেশ করে রাজধানীতে। এতে গাড়ির চাপ ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি। বেলা গড়াতেই তীব্র যানজটে কবল দেখা দেয়।
বিকেল ৩টার পর কাকরাইল মসজিদ মোড় থেকে মগবাজার, ইস্কাটন রোড, মৎস্য ভবন থেকে হাইকোর্ট মোড় সড়কে যানবাহন কার্যত স্থবির হয়ে আছে। মাঝে বৃষ্টির কারণে যানজট পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। অনেক যাত্রী ও সমাবেশগামী বাসের নেতাকর্মীরা হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছিলেন।
রাজধানীর মতিঝিল শনিরআখড়া, কাজলা, যাত্রাবাড়ী, গুলিস্তান, শাহবাগ, কাকরাইল, শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরা, বাড্ডা, প্রেসক্লাব, হাইকোর্ট মোড়, শিক্ষা ভবনসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা কম। গণপরিবহনের সংখ্যা কম দেখা গেলেও যেগুলো আছে তা বেশিরভাগ জ্যামে আটকা। গাড়ির জ্যামের চেয়ে মানুষের জটলাই মূলত অনেক রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে।
বাস চালকরাও বলছেন, সড়কে গাড়ির সংখ্যা কম থাকলেও সমাবেশে আসা মানুষ ভর্তি ট্রাক, বাস আর মিছিলের কারণে বিভিন্ন সড়কে দীর্ঘ জ্যাম সৃষ্টি হয়েছে।
তবে, বড় দুই দলের সমাবেশ ঘিরে সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বিপুল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সমাবেশ ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। কাউকে সন্দেহ হলে তাকে তল্লাশি করা হচ্ছে।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন বলেন, দুই রাজনৈতিক দলের সমাবেশ ঘিরে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। ইউনিফর্ম ছাড়া সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ কাজ করছে। যেকোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।