ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল ইসলাম আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনাকে অনাকাঙ্ক্ষিত হিসেবে উল্লেখ করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ এ আরাফাত।
সোমবার (১৭ জুলাই) ভোটগ্রহণ শেষে এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা উল্লেখ করেন।
আরাফাত বলেন, ভোট শেষ হওয়ার আগে এমন ঘটনার কোনো প্রয়োজন ছিল না। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, একজন প্রার্থীর সঙ্গে যে ঘটনাটি ঘটেছে আমি শুনেছি। তার প্রেক্ষিতে আমি মনে করি এটি খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত। সারাদিন খুব সুন্দরভাবে নির্বাচন চলছিল, শেষ মুহূর্তে এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটার প্রয়োজন ছিল বলে আমি মনে করি না। এর মধ্য দিয়ে কেউ নির্বাচনকে বিতর্কিত করার একটি অপচেষ্টা করেছে বলে মনে হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী বলেন, এ ঘটনার জন্য তীব্র নিন্দা জানাই। এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে আমি দাবি জানাই। ভবিষ্যতে যেন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে।
এর আগে, সোমবার ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে বনানী বিদ্যানিকেতন কেন্দ্রে পরিদর্শনে গেলে হামলার শিকার হন আলোচিত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম।
মারধরের পর হিরো আলমকে রামপুরার বেটার লাইফ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। বিভিন্ন কেন্দ্রে হিরো আলমের এজেন্টদেরও মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন এই প্রার্থী।
ভোটকেন্দ্রের বাইরে অবস্থানরত কিছু লোক তাকে মারধর করে বলে জানা গেছে। এ সময় হিরো আলমের উদ্দেশে হামলাকারীদের বলতে শোনা যায়, সে (হিরো আলম) করে টিকটক, সে জোকার। সে কেনো গুলশান-বনানীর এমপি হতে চায়? এমপির মানে জানে? কেউ কেউ বলছিলেন, খালি দৌড়ানি দে, মারধর করা লাগবো না।