পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, দেশে এখন গণতন্ত্র নেই। বর্তমান সরকার যেভাবে নির্বাচন করে যাচ্ছে, আগামীতেও এভাবে নির্বাচন করে যদি গ্রহণযোগ্য করাতে পারে তাহলে গণতন্ত্র রুদ্ধ হয়ে যাবে। তখন একজন নেতা থাকবেন, তিনি আজীবনই নেতা থাকবেন। একটি মাত্র দল থাকবে, তারা চাইলে শোভা’র জন্য কিছু পাপেট দল তৈরি করে রাখতে পারবে। নির্বাচনের পরিবর্তে সবকিছুই সিলেকশনে হবে। কখনো নির্বাচন হলে সুপ্রীম লিডারের নির্দেশেই হবে। ব্যবসায়ী ও পেশাদার সংগঠনসহ সব কিছুই এখন সিলেকশনের দিকে চলে গেছে। ব্যবসায়ী, ইঞ্জিনিয়ার, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার এবং ডাক্তারদের সংগঠনও সিলেকশনের দিকে যাচ্ছে। দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চালুর পাঁয়তারা চলছে।
তিনি আরও বলেন, দেশে একজন নেতা এবং আজীবনের জন্য নেতা থাকবেন। জনগণের কোন অধিকার থাকবে না, তারা প্রজা হিসেবে চাকরের মতো বিবেচিত হবে। দুর্নীতি ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে শুধু রাজনৈতিক দল নয়, জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর বনানীস্থ কার্যালয় মিলনায়তনে গণমাধ্যম কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এ সব কথা বলেন জিএম কাদের।
এ সময় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি ও জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির সহ-সভাপতি খন্দকার দেলোয়ার জালালী উপস্থিত ছিলেন।
জিএম কাদের আরো বলেন, দু’টি কাজ সরকার সাফল্যের সাথে করতে পেরেছে। একটি হচ্ছে, মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পেরেছে। জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে ভয়ে কথা বলতে পারছে না। নির্যাতন, নিষ্পেষণ এবং কঠোরভাবে দমনের ভয়ে মানুষ সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে যোগ দিতে আতঙ্কিত। দ্বিতীয় হচ্ছে, মানুষের মাঝে হতাশা সৃষ্টি করতে পেরেছে। তিন মাস দেশ বন্ধ ছিল কিন্তু আন্তর্জাতিক কিছু সমর্থনের কারণে সরকার টিকে গেছে। এ কারণে সাধারণ মানুষ মনে করে, অন্দোলন করে কোন ফল হবে না। এই দুটি বিষয় থেকে মানুষকে আস্থার জায়গায় নিয়ে আসতে হবে। জনগণের সক্রীয় সমর্থন ছাড়া রাজনৈতিক দলগুলো কিছুই করতে পারবে না।