• রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০২:০৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম:

কেউ রক্তচক্ষু দেখালে কী করতে হবে, আ.লীগ জানে : তথ্যমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বুধবার, ১৯ জুলাই, ২০২৩
ছবি : সংগৃহীত

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, কেউ রক্তচক্ষু দেখালে কী করতে হবে, তা আওয়ামী লীগ জানে। নির্বাচনের আগে বিএনপি গণ্ডগোল লাগানোর অপচেষ্টা করবে, কিন্তু সে সুযোগ আমরা তাদেরকে দেব না।

মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রাম পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রার শুরুতে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি দেশের পরিস্থিতি ঘোলাটে করে ঘোলাপানিতে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে সমাবেশের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য সারাদেশে নানা কর্মসূচি পালন করছে। কয়দিন আগে চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জায়গায় তারুণ্যের সমাবেশ করেছে। আমি দেখলাম সেখানে সবাই প্রায় ৫০ থেকে ৬০ বছর বয়সের তরুণ। মির্জা ফখরুল সাহেব যদি তারুণ্যের সংজ্ঞাটা একটু বলতেন, তাহলে ভালো হতো। বিএনপি বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিই তার উদ্দেশ্য। আর আওয়ামী লীগ গণমানুষ থেকে গড়ে ওঠা রাজপথের দল, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সমস্ত প্রতিকূলতার মধ্যে উজান ঠেলে এগিয়ে যাওয়ার দল। আমরা রাজপথে আছি, নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথে থাকব। জনগণের রায় নিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসিয়ে তারপর আমরা ঘরে ফিরে যাব।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান ও আইন অনুযায়ীই দেশ চলবে, কারো প্রেসক্রিপশনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ চলবে না। তিনি বঙ্গবন্ধুকন্যা, যার শিরায় বঙ্গবন্ধুর রক্তস্রোত প্রবাহমান। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধের জন্য অনেক দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে দিয়ে এমনকি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দিয়েও বিএনপি-জামায়াত ফোন করিয়েছিল। শেখ হাসিনা সেগুলোর তোয়াক্কা করেন নাই। ন্যায়বিচার বন্ধ হয় নাই, ফাঁসির রায় কার্যকর হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল এসে তত্ত্বাবধায়ক কিংবা নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কিছু বলে নাই। যেভাবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, জাপান এবং কন্টিনেন্টাল ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যে সরকার ক্ষমতায় থাকে, তারাই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করে। আমাদের দেশেও জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার আগামী নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ একটি শক্তিশালী সংগঠন। বিএনপির মির্জা ফখরুল সাহেব কয়দিন পরপর চট্টগ্রামে আসছেন। এখানে এসে লাভ নাই। যদি বাড়াবাড়ি করেন আপনাদের আন্দোলন বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেওয়া হবে। ঢাকা ১৭ আসনের উপনির্বাচনে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের উপর কালিমা লেপনের অসৎ উদ্দেশ্যে একজন প্রার্থী হিরো আলমের ওপর হামলা করা হয়েছে। হামলাকারীদের অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুষ্কৃতকারীরা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এটি করেছে। আমরা এর নিন্দা জানাই।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শোভাযাত্রায় বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, সহসভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, নোমান আল মাহমুদ এমপি, মহানগর আওয়ামী লগি নেতা ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, সফর আলী, আলতাফ হোসেন বাচ্চু প্রমুখ


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ