কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেনের যেকোনো জাহাজ ঢুকলেই তাকে সামরিক লক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে মস্কো। রাশিয়ার শস্যচুক্তি বাতিলের পর বিকল্প পথে শস্য পাঠাতে কিয়েভের ঘোষণার পরই এমন হুমকি দিলো মস্কো। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, শস্যচুক্তিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে মস্কো। খবর রয়টার্সের।
রুশ-ইউক্রেন শস্যচুক্তি বাতিল হওয়ার পর থেকেই এর দায়ভার নিয়ে চলছে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ। এই বিতর্কের মধ্যেই বিকল্প পথে শস্য নেয়ার ঘোষণা দেয় কিয়েভ। এ নিয়ে রাশিয়া স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দেয়, কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেনের যেকোনো জাহাজ ঢুকলেই তাকে সামরিক লক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করা হবে। অর্থাৎ কৃষ্ণসাগরে প্রবেশকারী ইউক্রেনের পতাকাবাহী যেকোনো জাহাজকে হামলার প্রস্তুতি নিয়েছে রুশ বাহিনী।
এ নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, এর আগে আমরা শস্যচুক্তির মেয়াদ এবং পরিধি বাড়িয়েছি। এই ইস্যুতে অনেক ধৈর্য্য দেখিয়েছি আমরা। কিন্তু পশ্চিমা শক্তির কারণেই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। এই চুক্তি করা হয়েছিল বিশ্বের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য। কিন্তু পশ্চিমা শক্তি এটি নিয়ে আমাদের ব্ল্যকমেইল করছে নির্লজ্জভাবে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, শস্যচুক্তিকে অস্ত্র বানিয়ে ব্যবহার করছে রাশিয়া। বিষয়টি নিয়ে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাট মিলার বলেন, শুরু থেকেই রাশিয়া এই চুক্তিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে আসছে। এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ইউক্রেনীয় শস্যবাহী জাহাজ চলাচলের ওপর হুমকি দিলো মস্কো। শুধু ইউক্রেনই নয়, মস্কোর এমন আচরণে সংকটে পড়বে পুরো বিশ্ব। রাশিয়াকে চুক্তিতে ফিরে আসতে আহ্বান জানিয়েছে আফ্রিকান ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘ।