• বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৩৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
রাষ্ট্রপতিকে পদচ্যুত করতে ব্যারিকেড ভেঙে বঙ্গভবনে ডোকার চেষ্টা, গুলিবিদ্ধ ২ কোনও ঝগড়া নেই বাংলাদেশের সঙ্গে, আমরা ওদের ভালোবাসি : মমতা পরীক্ষা দিতে আসা ছাত্রলীগ নেতাকে আটকে পুলিশে দিলো বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা .নিজ জেলা পাবনায় রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে মশাল মিছিল মধ্যরাতে লাইভে এসে নাটকের সাদিয়ার নাটক নিয়ে মুখ খুললেন সেন্টমার্টিনগামী পর্যটকদের বিকল্প পথে চলাচলের পরামর্শ বইছে হিমেল হওয়া, ১৭ ডিগ্রিতে তাপমাত্রা নামল তেঁতুলিয়তে ছাত্রলীগ নেতা নিয়াজ হত্যায় দায়ে ২১ জনের যাবজ্জীবন হাসপাতালের বাঙ্কারে হিজবুল্লাহর বিপুল সম্পদের তথ্য প্রকাশ করল ইসরাইল হিজবুল্লাহর ব্যাপক হামলায় ইসরাইলে জরুরি অবস্তা জারি

রোহিঙ্গাদের ফেরা নিয়ে সংশয় জাতিসংঘের

আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

রাখাইন সংঘাত থেকে বাঁচতে স্বল্পসংখ্যক যে হিন্দু বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছিলেন তাদের মিয়ানমারে ফেরত যেতে অনুরোধ করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

তবে রোহিঙ্গা মুসলিমরা তাদের পিতৃভূমিতে ফিরতে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। খবর এএফপির।

রাখাইন রাজ্যে উদ্বাস্তু শিবিরে ত্রাণ বিতরণে নিয়োজিত সরকারি সংস্থার প্রধান উ বু হ্লা শোয়ে বলেছেন, যেসব হিন্দু বাংলাদেশে পালিয়ে গেছেন তারা যেন ফের নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন। তবে রোহিঙ্গা মুসলিমদের কী হবে সেটা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।

গত এক মাসে বাংলাদেশ সর্বসাকল্যে ৫০০ হিন্দু আশ্রয় নিয়েছে। অন্যদিকে জীবন বাঁচাতে পালিয়ে এসেছেন প্রায় ৫ লাখ রোহিঙ্গা। মিয়ানমার সরকার দাবি করছে, রাখাইনে ৪৫ জন হিন্দুর গণকবর পাওয়া গেছে। তাদের রোহিঙ্গা জঙ্গিরা হত্যা করেছে বলে দাবি সরকারের।

এদিকে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ৮ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ঘিরে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে, সেটার দ্রুত সমাধান হওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনের (ইউএনএইচসিআর) প্রধান ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি। তবে তার মতে, বড় প্রশ্ন হল এই রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমিতে ফিরতে দেয়া হবে কিনা।

বুধবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছিলেন গ্র্যান্ডি। রোহিঙ্গা সংকটের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সফর করে যাওয়ার বিষয়ে এই সংবাদ সম্মেলন ডাকেন তিনি।

ইউএনএইচসিআর প্রধান আশা প্রকাশ করেন, দেশান্তরী রোহিঙ্গাদের বিষয়ে আগামী সপ্তাহে জেনেভায় মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হবে। সেখানে সমস্যার সমাধান খোঁজার চেষ্টা করা হবে। গ্র্যান্ডি বলেন, এটা একেবারেই স্পষ্ট যে, এই সংকটের সৃষ্টি মিয়ানমারে এবং সমাধানও মিয়ানমারের কাছে। তাদেরই এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।

সংকটের দ্রুত নিরসনের আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের এই সংস্থা প্রধান সতর্কতা উচ্চারণ করে বলেন, সমস্যাটির সমাধান না হলে কিছু এলাকায় সন্ত্রাসী সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা অনেক অনেক বেশি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ