• বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪০ অপরাহ্ন

জালনোট তৈরি শিখেছেন অনলাইনে, কারবার ফেসবুকে

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বুধবার, ২৩ আগস্ট, ২০২৩

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জাল নোট কারবারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চার ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা এখন পর্যন্ত প্রায় দুটি কোটি টাকার ব্যবসা করেছেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, মোহাম্মদ আমিনুল হক ওরফে দুলাল (৪৩), আবদুর রাজ্জাক ওরফে দিদার (৩০), সুজন আলী (৪০) ও মেহাম্মদ সাকিবুল হাসান (২১)। গতকাল মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) রাতে রাজধানীর খিলগাঁও, সবুজবাগ ও ডেমরা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া জাল নোট তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে।

বুধবার (২৩ আগস্ট) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, র‍্যাব বলছে, চক্রটির সদস্যরা ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় জাল নোট সরবরাহ করতেন। এ ছাড়া মাছবাজার, লঞ্চঘাট, বাস টার্মিনালসহ বিভিন্ন মার্কেটে জাল নোট সরবরাহ করতেন। তারা বিভিন্ন উৎসবের সময় বিপুল পরিমাণ জাল নোট ছাপাতেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে তাঁরা জালনোট ছাপার পর অব্যবহৃত কাগজসহ অন্যান্য অংশ পুড়িয়ে ফেলতেন।

তিনি জানান, চক্রটির মূল হোতা আমিনুল। অন্যরা তার সহযোগী। আমিনুল একসময় রাজধানীর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ডিজাইনার হিসেবে কাজ করতেন। তিনি অনলাইনে জালনোট তৈরি করা শেখেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচয় হওয়া কয়েকজন ব্যক্তিকে নিয়ে তিনি জাল নোট তৈরি-বিক্রির চক্র গড়ে তোলেন। ‘জাল নোট বিক্রি করি’, ‘জাল টাকা সেল’, ‘জাল টাকা বেচি’- এমন সব নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পেজ-গ্রুপ খুলে তাঁরা জাল নোটের কারবার চালিয়ে আসছিলেন।

র‍্যাব জানায়, আমিনুল জাল নোট তৈরির সরঞ্জাম সংগ্রহ করতেন। তিনি নিজে জালনোটের ডিজাইন করতেন। জালনোট ছাপার কাজ করতেন। তিনি জাল নোট ছেপে তা তার সহযোগী দিদারকে দিতেন। দিদার চক্রের অন্য সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে জাল নোট কাটিং ও বান্ডিল করতেন। তাঁরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে গ্রাহক তৈরি করতেন। তাঁরা গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিতেন। পরে তাদের সুবিধাজনক স্থানে জাল নোট সরবরাহ করতেন। যখন ব্যবসা রমরমা থাকত, তখন চক্রটি দিনে ২ থেকে ৩ লাখের বেশি টাকার জাল নোট তৈরি করত। তারা এক লাখ টাকার জাল নোট ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করতেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ