সংবিধান পরিপন্থী সব অশুভ শক্তির উত্থান প্রতিহত করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি দেশের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ চর্চা আরো বেগবান করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
ঢাবি উপাচার্য বলেছেন, অসাংবিধানিক শক্তির উত্থান ঘটলে দেশের গণতন্ত্র, সংবিধান ও উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়। সব অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক চক্রান্তের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সবসময় সোচ্চার থাকবেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কালো দিবস’ উপলক্ষ্যে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলার ন্যাক্কারজনক ঘটনা এবং ২০০৭ সালের ২০-২৩ আগস্টে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা একই সূত্রে গাঁথা। স্বাধীনতাবিরোধী ষড়যন্ত্রকারী অপশক্তি এসব বেদনার্ত, নির্মম ঘটনা ঘটিয়েছিল। এরা গণতন্ত্রের শত্রু, সংবিধানের শত্রু।
উপাচার্য বলেন, ২০০৪-২০০৬ সাল পর্যন্ত আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। আমরা শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ২০০৭ সালের সেনা সমর্থিত শাসন ও ২০-২৩ আগস্টের ঘটনার বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলনের পটভূমি তৈরি করি। সেসময় এক কঠিন পরিস্থিতিতে নানা ঝুঁকি নিয়ে আমাদের অগ্রসর হতে হয়েছিল।
‘সংবিধান পরিপন্থী সব অশুভ শক্তির উত্থান’ প্রতিহত করতে ভবিষ্যতেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সাহসী ভূমিকা পালন করবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
২০০৭ সালের ২৩ আগস্টের ঘটনাকে জাতির জীবনে এক ‘কালো অধ্যায়’ হিসেবে উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তৎকালীন সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক ভাবধারায় বাংলাদেশকে পরিচালিত করার হীন চেষ্টা চালিয়েছিল। সেসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে সারা দেশের মানুষ এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও ঐতিহ্য ধারণ করে দেশের উন্নয়নের বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র ও প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলায় সর্বদা সোচ্চার থাকার জন্য শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সবার প্রতি উপাচার্য আহ্বান জানান।
সভায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ২০০৭ সালের ২৩ আগস্টের ঘটনায় কারা নির্যাতিত শিক্ষক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতসহ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, কর্মচারী সমিতি, কারিগরি কর্মচারী সমিতি ও চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। রেজিস্টার প্রবীর কুমার সরকার অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।