• বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৩৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
রাষ্ট্রপতিকে পদচ্যুত করতে ব্যারিকেড ভেঙে বঙ্গভবনে ডোকার চেষ্টা, গুলিবিদ্ধ ২ কোনও ঝগড়া নেই বাংলাদেশের সঙ্গে, আমরা ওদের ভালোবাসি : মমতা পরীক্ষা দিতে আসা ছাত্রলীগ নেতাকে আটকে পুলিশে দিলো বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা .নিজ জেলা পাবনায় রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে মশাল মিছিল মধ্যরাতে লাইভে এসে নাটকের সাদিয়ার নাটক নিয়ে মুখ খুললেন সেন্টমার্টিনগামী পর্যটকদের বিকল্প পথে চলাচলের পরামর্শ বইছে হিমেল হওয়া, ১৭ ডিগ্রিতে তাপমাত্রা নামল তেঁতুলিয়তে ছাত্রলীগ নেতা নিয়াজ হত্যায় দায়ে ২১ জনের যাবজ্জীবন হাসপাতালের বাঙ্কারে হিজবুল্লাহর বিপুল সম্পদের তথ্য প্রকাশ করল ইসরাইল হিজবুল্লাহর ব্যাপক হামলায় ইসরাইলে জরুরি অবস্তা জারি

ভোলাহাটে ভাল্ব নষ্ট হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন ছোট্ট্র শিশুর মা জলি

আপডেটঃ : সোমবার, ২ অক্টোবর, ২০১৭

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি॥
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাটে দরিদ্র পরিবারের ভাঙ্গা ঘরে জটিল রোগ ভাল্ব নষ্ট হয়ে অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে না পরায় ছটপট করে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন এক ছোট শিশুর মা জলি। দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের উপজেলার গোপিনাথপুর গ্রামের কাঠ মিস্ত্রী জালাল উদ্দীনের মেয়ে আশেয়া সিদ্দিকা জলি(১৯)। গরীবের সংসারে ছোটতেই মেয়ের বিয়ে দিয়ে দেন কাঠ মিস্ত্রী বাবা। বিয়ের পর পর জলির কোল জুড়ে আসে ফুটফুটে এক ছোট্ট্র কন্যা সন্তান। এমনি এক সময় জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন ফুটফুটে কন্যা সন্তানের মা জলি। নুন আনতে পান্তা ফুরা অভাবের সংসারে চিকিৎসকের কাছে যেতে না পেরে গ্রামের কবিরাজের কাছে ঝাড়ফুঁক দিয়ে রোগ সারানোর চলে চেষ্টা। কিন্তু অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় স্থাণীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলে বেশ কিছু দিন ধরেই  চিকিৎসা। সেখানেও চিকিৎসার উন্নতি হলো না জলির। ধীরে ধীরে শারিরীক ভাবে অচল হয়ে পড়েন তিনি। টাকা পয়সা না থাকায় কি ভাবে রোগ সারাবেন এ নিয়ে চলতে থাকে দিনের পর দিন নানা চেষ্টা। তাই বেঁচে থাকার আকুতিতে স্বজনদের কাছে শুরু করলেন অর্থ সহায়তার আবেদন। অসুস্থ মার আদর বঞ্চিত ছোট শিশু বাচ্চাটিরও দিনদিন মুখের হাসি ফুরিয়ে আসে। কিন্তু নিয়তির কঠিন পরীক্ষার লড়াই করতে শিশুটির মুখে হাসি ধরে রাখতে এবার চিকিৎসার জন্য ছুটলেন রাজশাহী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতাল। সেখানে চিকিৎসক বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেন। পরীক্ষার রির্পোট দেখে চিকিৎসক জানান জলির ভাল্ব নষ্ট হয়ে গেছে। তাকে বাঁচাতে হলে দেশের বাইরে নিয়ে গিয়ে উন্নত চিকিৎসা করাতে হবে। আর এ চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন প্রচুর অর্থের দরকার। মিস্ত্রী বাবার মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। দিনমজুর মানুষের এতো টাকা সংগ্রহ করা কোন ভাবেই সম্ভব নই। টাকার জন্য চোখের সামনে ছটপট করে মরলেও যেন মেয়ের জন্য একজন বাবার করার কিছুই নেই। হতাশায় মৃত্যু পথযাত্রী জলি তার ছোট শিশু কন্যাটিকে শঁপে দিলেন আল্লাহর কাছে। কারণ তিনি  এতো টাকা  জোগার করে দেশের বাইরে গিয়ে চিকিৎসা নেয়ার শক্তি নেই। তাই তো প্রথম অবস্থায় ঝাড়ফুঁক দিয়েই চলছিলো রোগ সারানোর ব্যবস্থা। এখন শিশু সন্তানটির জন্য তার বেঁচে থাকার ইচ্ছে প্রবল। কিন্তু কি করার আছে। সব ভরসা শেষ। প্রকৃতির নির্মমতার এ লড়াই থেকে বাঁচতে সে এখন বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের দিকে তাকিয়ে আছে। তাকে তার শিশু কন্যাটির জন্য বাঁচাতে বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের মধ্য থেকে স্ব-হৃদয় ব্যক্তিরা যদি এগিয়ে এসে এক-দু টাকা করেও সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন। তবেই হয় তো পৃথিবীতে সে ও তার ছোট্ট্র শিশুটি বাঁচার সুযোগ পেতো !  একজন মানুষকে বাঁচাতে ১৭ কোটি মানুষের সহায়তা নিয়ে ২টি প্রাণ বেঁচে যাবে। তাকে বাঁচাতে দ্রুত আর্থীক সহায়তা পাঠাতে তার বিকাশ নং- ০১৭৪৪-৬৮৯৬৩৪ ও রৃপলী ব্যাংক  ভোলাহাট শাখার এ্যাকাউন্ড নং-৩৫৫৮০১০০১১০৫৪তে অর্থ সহায়তার জন্য অনুরোধ করেছেন মৃত্যু পথযাত্রী জলি ও তারা বাবা ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ