• রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০০ অপরাহ্ন

উল্লাপাড়ায় গৃহবধুর আত্মহত্যার অভিযোগে ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে মামলা

আপডেটঃ : বুধবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৭

উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি॥
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় গৃহবধু আনোয়ারা খাতুনের আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগ এনে স্বামী ও ভাই বাদি হয়ে আদালতে আলাদা দুটি মামলা দায়ের করেছে। এর মধ্যে স্বামী মোঃ রইচ উদ্দিন স্ত্রীর সঙ্গে ওমর আলীর পরকীয়া সম্পর্ক এবং পরবর্তীতে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে মামলা টি করেছেন। অপরদিকে গৃহবধু আনোয়ারা খাতুনের ভাই মোঃ আব্দুর রশিদ সাতজনকে বিবাদী করে আদালতে আরেকটি মামলা দায়ের করেছে। এ মামলায় ১নং আসামী মোঃ ওমর আলী ও পূর্নিমাগাঁতী ইউপি’র ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ আলী হোসেনকে ৪নং আসামী করা হয়েছে। এ মামলার দুটি বাদী পক্ষের মৌখিক অভিযোগে ৪নং আসামী ইউপি সদস্য আলী হোসেন আসামীদের যোগ সাজসে বাদী পক্ষের লোকজনকে বিভিন্ন প্রলোভন ও হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। এসব বিষয়ে আলী হোসেন জানান, তিনি কোন ধরনের প্রলোভন কিংবা হুমকি ধামকি দেননি। মামলার বিবরনীতে জানা গেছে, উল্লাপাড়া উপজেলার পূর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়নের বেতুয়া গ্রামের মোক্তার হোসেনের ছেলে আব্দুর রশিদ তার আপন বোন আনোয়ারা খাতুনকে বামনগিয়ালা গ্রামের মোঃ আবু জাপরের ছেলে ওমর আলী আতœহত্যার প্ররোচনা দেয়। তার প্ররোচনায় আনোয়ারা খাতুন গত ২৭ জুলাই বেলা ১১ টার দিকে আত্মহত্যার মানষে কীটনাশক খায়। তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় প্রথমে উল্লাপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর পর সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার আরো অবনতি হলে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৮ জুলাই মধ্যরাতে সে মারা যায়। স্থানীয় থানা পুলিশ তার শাল ময়না তদন্ত করে। এ মামলার অপর আসামীরা হলেন- বামনগিয়ালা গ্রামের মোঃ সুরুত জামান, আবু জাফর প্রামানিক, মোছাঃ সুখজান খাতুন ও মোছাঃ রোজিনা খাতুন। এছাড়া গত ১৮ সেপ্টেম্বর সিরাজগঞ্জ বিজ্ঞ আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া গত ৭ আগষ্ট একই আদালতে গৃহবধু আনোয়ারা খাতুনের স্বামী বামনগিয়ালা গ্রামের তয়জাল সরকারের ছেলে মোঃ রইচ উদ্দিন একই গ্রামের আবু জাফরের ছেলে ওমর আলীকে একমাত্র আসামী করে মামলা করেছেন। এ মামলায় স্বামী রইচ উদ্দিন নিজ স্ত্রী আনোয়ারা খাতুনের সাথে ওমর আলীর পরকীয়ার সম্পর্ক বিষয় জানিয়েছে। এর পরকীয়া সম্পর্কের বিষয় গ্রামে জানাজানি হলে আনোয়ারা খাতুন ওমর আলীর বাড়ীতে যায়। এ সময় তাকে আতœহত্যার প্ররোচনা দেয়া হলে, সে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করে। এ মামলা দুটি বিষয়ে সিরাজগঞ্জ আদালত থেকে উল্লাপাড়া থানা পুলিশকে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার বিষয় জানানো হয়। উল্লাপাড়া থানা কর্তৃপক্ষের বক্তব্যে মামলা দুটি তদন্তের পর্যায়ে রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ