• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১২:৩৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম:

অর্থের বিনিময়ে অদক্ষ্য ব্যক্তিকে নিযোগ দেওয়ার কারনে তোল-পাড় সৃষ্টি হয়েছে ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে

আপডেটঃ : বুধবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৭

ফরিদপুর প্রতিনিধি॥
ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন উপজেলায় উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা পদে অর্থের বিনিময়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিকট আত্মীয়কে নিয়োগ দেওয়ার কারণে তোল-পাড় সৃষ্টি হয়েছে ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে। নিয়োগ বাতিলের দাবিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর মহাপচিালক বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন জনৈক্য এক কর্মকর্তা।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা/সমমান পদ থেকে অপেক্ষকৃত জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ পদে নিয়োগ দেওয়ার আদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর মহাপরিচালক মো. আব্দুল লতিফ স্বাক্ষরিত নির্দেশনা সম্বলিত (স্মারক নং-১জি-১/২০১২/৯০৯২(৭৯) তাং ৯-৯-২০১২ চিঠিতে বলা হয়েছে। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা/সমমানের পদে কমপক্ষে ১৫ বছর চাকুরীর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। অঞ্চলে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা/সমমানদের মধ্যে অপেক্ষকৃত জ্যেষ্ঠ হতে হবে এবং ৭টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মহাপরিচালকের চিঠির নির্দেশ না মেনে উর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিজের আত্মীয়কে নিয়োগ দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

লিখিত অভিযোগ সূত্র থেকে জানা যায়, ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন উপজেলায় উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা পদে আবেদনকৃতদের মধ্যে সর্ব কনিষ্ঠ টুঙ্গিপাড়ার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মৃনাল বিশ্বাস। সর্ব কনিষ্ঠ মৃনাল বিশ্বাসকে চরভদ্রাসন উপজেলায় উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা পদে নিয়োগ দিয়েছে। মৃনাল বিশ্বাস এর চাকুরীর বয়স মাত্র ৭ বছর। উর্ধ্বতন কর্মকর্তা’র নাত জামাই পরিচয় দিয়ে ও অর্থের বিনিময়ে এই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগে বলা হয়। উক্ত পদের জন্য দশ জন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবেদন করলেও পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে ৭ জন। পরীক্ষায় অংশ গ্রহণকারীদের মধ্যে ১৯৮৬ ও ২০০৪ সালের অভিজ্ঞ কর্মকর্তা থাকা সত্যেও শুধু মাত্র অর্থের বিনিময়ে কনিষ্ঠ ব্যক্তি মৃনাল বিশ্বাসকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এবিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ফরিদপুরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ জি. এম. আব্দুর রউফ বলেন, এটা হলো অতিরিক্ত পরিচালকের দায়িত্ব। তিনি যেটা ভাল মনে করেছেন, সেটাই করেছেন।
এবিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ফরিদপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কিংকর চন্দ্র দাস, বলেন শতভাগ নিয়ম মেনে পদায়ন করা হয়েছে। এবং যোগ্য ব্যক্তিকেই শূণ্য পদে পদায়ন করা হয়েছে। এখানে অর্থের বিনিময়ে পদায়ন করা হয়নি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ