অজ্ঞাত পরিচয় উড়ন্ত বস্তু বা ইউএফও সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন নাসা প্রধান বিল নেলসন। মেক্সিকোর কংগ্রেসে ‘এলিয়েন’ প্রদর্শনের পর নাসার এই রিপোর্ট নিয়ে কৌতূহল ছিল সারা বিশ্বেই। বৃহস্পতিবার রিপোর্টটি পেশের সময় নাসা প্রধান বলেন, ‘আমার বিশ্বাস এলিয়েন রয়েছে।’
উল্লেখ্য, বিগত দিনে বারবার অভিযোগ উঠেছে, মার্কিন সরকার এলিয়েনের অস্তিত্ব সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লুকিয়ে রেখেছে। এই আবহে নাসা প্রধানের মন্তব্য নিয়ে চলছে জোর আলোচনা।
ইউএফও নিয়ে গবেষণায় নাসা কীভাবে এগোতে পারে, তার জন্য একটি স্বতন্ত্র রিপোর্ট তৈরি করা হয়। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয় অজ্ঞাত পরিচয় উড়ন্ত বস্তু সংক্রান্ত ৩৩ পাতার সেই রিপোর্ট।
নাসার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউএফও নিয়ে নতুন বৈজ্ঞানিক কৌশলে গবেষণা চালাতে হবে। এ জন্য অত্যাধুনিক স্যাটেলাইট ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহারের প্রয়োজন রয়েছে। রিপোর্ট প্রকাশের সময় সংবাদ সম্মেলনে নাসা প্রধান বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এলিয়েন রয়েছে।’
বিল নেলসন বলেন, ‘ইউএফও-র সঙ্গে এলিয়েনের যোগ আছে কি না, সে বিষয়ে নাসা কোনও প্রমাণ পায়নি। তবে আমরা বাসযোগ্য গ্রহের সন্ধান করে চলেছি মহাকাশে।’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি মেক্সিকো কংগ্রেসে দুটি মমি প্রদর্শিত হয়। দাবি করা হয়েছে, ওই দুটি মরদেহ পৃথিবীর কোনো প্রাণির নয়। পিছনে একটি জোরালো যুক্তিও খাড়া করেছেন ইউএফও বিশেষজ্ঞ জেইমি মোসান। জানানো হয়, ওই দুই কঙ্কালের ৩০ শতাংশ ডিএনএ একেবারেই অপরিচিত। অর্থাৎ পৃথিবীতে এত শতাব্দী ধরে যত ধরনের প্রাণী ছিল তাদের কারও সঙ্গেই মিল নেই। এর ভিত্তিতেই মনে করা হচ্ছে, প্রাণী দুটি ভিন গ্রহের।
মেক্সিকোর ঘটনায় ইউএফও বিশেষজ্ঞ জেইমি মোসান দাবি করেন, কোনোভাবে পৃথিবীতে পৌঁছানোর পর মারা গিয়েছিল এই দুই প্রাণি। প্রায় এক হাজার বছর আগে এই ঘটনা ঘটে বলে দাবি করা হচ্ছে। ডিএনএ সংক্রান্ত পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে ন্যাশনাল অটোনমাস ইউনিভার্সিটি অফ মেক্সিকোতে। যদিও সেই সংস্থারই গবেষক জুলিয়েটা ফিয়েরো বুধবার এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে বিস্তারিত জানান। তাঁর কথায়, ইউএফও বিশেষজ্ঞ ও সাংবাদিক জেইমি মোসানের দাবি অনেক ক্ষেত্রেই তাঁদের কাছে ভিত্তিহীন লেগেছে। সূত্র হিন্দুস্তান টাইমস।