অক্টোবর মাসে সরকারি-বেসরকারি মিলে ১২ লাখ টন চাল দেশে আসবে। এর মধ্যে সরকারিভাবে আসবে প্রায় দেড় লাখ টন। বাকি চাল আসবে বেসরকারিভাবে আমদানিকারকদের মাধ্যমে। ফলে বাজারে চালের সরবরাহ বাড়বে, কমবে দাম। খাদ্য মন্ত্রণালয়, খাদ্য অধিদফতর ও চাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ করে এসব তথ্য জানা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খাদ্য অধিদফতরের এক কর্মকর্তা বুধবার যুগান্তরকে বলেন, ‘চালের সংকট অনেকটাই কেটে গেছে। কারণ, আমদানি শুল্ক ২৮ থেকে ২ শতাংশে নামিয়ে আনা এবং তিন মন্ত্রীর সঙ্গে চালকল মালিকদের ফলপ্রসূ বৈঠকের পর বাজারে স্বস্তি ফিরে এসেছে। আগামী এক মাসে সরকারি বেসরকারি মিলে কমপক্ষে ১২ লাখ টন চাল দেশে প্রবেশ করবে। এতে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।’ খাদ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদফতর সূত্র জানিয়েছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে এ পর্যন্ত বেসরকারিভাবে ২৫ লাখ টন চালের আমদানি প্রক্রিয়া চলছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর মতে, ইতিধ্যেই ১০ লাখ টন চাল দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর, নদীবন্দর ও সমুদ্রবন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করেছে। এর বেশির ভাগই এসেছে ভারত থেকে। বাকি চাল পাইপলাইনে দেশে ঢোকার অপেক্ষায় রয়েছে। অক্টোবর মাসে কম-বেশি ১১ লাখ টন চাল দেশে প্রবেশ করবে। অন্যদিকে জিটুজি (সরকার টু সরকার) প্রক্রিয়ায় ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ার কাছ থেকে আড়াই লাখ টন করে মোট পাঁচ লাখ টন চাল আমদানির চুক্তি করেছে সরকার।