চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি॥
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট ভারত সীমান্তে ৫ মাসে ৫ জনের প্রাণ কেড়ে নিলো ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বিএসএফ। সীমান্ত ঘেরা উপজেলার লোকজন নিজেদের স্বাবলম্বি করতে জীবন বাজি রেখে ভারতের ভিতর অবৈধ ভাবে অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে প্রতি নিয়ত গরু আনতে গিয়ে ধরা পড়ে বিএসএফ’র হাতে। এতে বিএসএফ’র বলির শিকার হচ্ছে গরু ব্যবসায়ীরা। মৃত্যুর মিছিল চলছে তো চলছে। কখন থামবে এ মিছিল। সম্প্রতি উপজেলার চরধরমপুর গ্রামে গড়ে উঠেছে অবৈধ গরুর বিট খাটাল। বিট খাটালকে কেন্দ্র করে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে গরু ব্যবসায়ীরা। কাউকে তোয়াক্কা না করে ভারতের মধ্যে প্রবেশ করে গরু আনার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তারা। ভারতে গরু আনতে গিয়ে শুধু লাশ হয়েই ফিরছেন না। অনেকেই আহত হয়ে বাঁকী জীবন পঙ্গুত্ব বরণও করছেন। ভারতে গত মঙ্গলবার রাতে গরু আনতে গিয়ে উপজেলার হাঁসপুকুর গ্রামের মৃতঃ শাহজাহান আলীর ছেলে সেলিম রেজা(৩৫) নিখোঁজ থাকার তিন দিন পর শুক্রবার তার লাশ গোমস্তাপুর উপজেলার মকরমপুর মহানন্দা নদীর তীরে ভাসমান অবস্থায় তার স্বজনেরা উদ্ধার করেন। অপরদিকে একই স্থানে ভারতে গরু আনতে গিয়ে ৮সেপ্টম্বর লাশ হয়ে ভেসে উঠে উপজেলার সুরানপুর গ্রামের হুমায়নের জামাতা তৌহিদুর(৩০)। একই ঘটনার শিকার হাউসপুর গ্রামের সাবুরুদ্দীনের ছেলে বুলুকে ভারত থেকে গরু আনাকে কেন্দ্র করে তার সহযোগী গরু ব্যবসায়ীরা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দের জেরে এলাপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে ২৫ জুলাই। এ ছাড়াও চাঁনশিকারি গ্রামের এরফান আলীর ছেলে সাইদুল(৩০) ও উপরপাঁচটিকরি গ্রামের আব্দুল হাই এর ছেলে সামাদ(২৮) ভারতে গরু আনতে গিয়ে ২৩ এপ্রিল বিএসএফ’র গুলি খেয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে মৃত্যুবরণ করেন। এ’ছাড়া আইনী জটিলতা এড়াতে বিএসএফ’র নির্যাতনের শিকার আহত অনেক গরু ব্যবসায়ীরা আত্মগোপনে থেকে চিকিৎসা নিয়ে পঙ্গুত্ববরণ করছেন। মুত্যুর মিছিল বন্ধ করতে ভুক্তভূগি পরিবারগুলো সরকারের কাছে দাবী জানিয়েছেন। এ সব ঘটনায় ৫৯ ব্যাটালিয়নের পোল্লাডাংগা কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার শাহ নেওয়াজের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ সব ব্যাপারে তাদের অভিভাবক হিসেবে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার বলবেন। তবে সীমান্ত বিষয়ে ভারতের সাথে পতাকা বৈঠক করা হবে বলে জানান। এ ছাড়া বিএসএফ’র নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনেরা তার কাছে কোন অভিযোগ না করায় নিহত আহতদের ব্যাপারে কোন তথ্য নাই বলে জানান।