রসুনের খোসা ছাড়িয়ে সেই খোসা আর কী করা হয়, ফেলেই তো দেয় সবাই। কিন্তু মজার বিষয়, রসুনের যে খোসা ফেলে দেন, তা-ই অনেক কাজে লাগানো সম্ভব।
রসুনের মতো এর খোসায়ও রয়েছে অনেক গুণ। আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো থেকে সর্দি কাশির উপশম হিসেবে কাজ করে রসুন। শুধু রসুনই নয়, এর খোসাও আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য সমান উপকারী। নানাভাবে ব্যবহার করতে পারেন রসুনের খোসা। চলুন জেনে নেওয়া যাক রসুনের খোসার কিছু ব্যবহার সম্পর্কে।
১# রসুনের খোসা ছাড়িয়ে সেগুলো শুকনো খোলায় ভেজে নিন। এবার ঠান্ডা করে গুঁড়া করে নিন। এই গুঁড়া অনেক খাবারের স্বাদ বাড়াতে কাজ করে। সবজির তরকারি, স্যুপ বা ঝোলে ভাজা রসুনের খোসার গুঁড়া ব্যবহার করতে পারেন। এতে তরকারিতে রসুনের হালকা স্বাদ পাবেন। সেইসঙ্গে পাবেন পুষ্টিও।
২# তেলের সঙ্গে মিশিয়েও ব্যবহার করা যায় রসুন। সেজন্য পরিষ্কার শুকনো বোতলে প্রথমে রসুনের খোসা ভরে নিন। তারপর তাতে অলিভ অয়েল ভরে বোতলের ঢাকনা আটকে দিন। কয়েক সপ্তাহ এভাবেই রাখুন। এই রসুন-মিশ্রিত তেল সালাদ বা যেকোনো রান্নায় ব্যবহার করতে পারবেন।
৩# ঘরে থাকা লবণের সঙ্গে রসুনের খোসার গুঁড়া মিশিয়ে নিন। এই লবণ খাবারের স্বাদ বাড়াতে ব্যবহার করতে পারেন। যেসব খাবারের সঙ্গে রসুনের স্বাদ যোগ করা যায়, সেসব খাবার তৈরিতে এটি ব্যবহার করতে পারেন।
৪# অনেক সময় বাথরুম বা বাড়ির অন্যান্য স্থানে দুর্গন্ধ হতে পারে। এ ধরনের গন্ধ দূর করতে কাজ করবে রসুনের খোসা। শুকনো রসুনের খোসা একটি থলেতে ভরে বাথরুমে ঝুলিয়ে রাখুন। এভাবে রাখতে পারেন আলমারি বা ড্রয়ারেও। রসুন দুর্গন্ধ শোষণ করবে এবং কাপড়কে ফ্রেশ রাখবে।
৫# রসুনের খোসা দিয়ে তৈরি করতে পারেন চা। এই চা আপনার শরীরের সুস্থতায় সাহায্য করবে। সেজন্য একটি হাঁড়িতে পরিমাণমতো পানি নিয়ে চুলায় বসান। এরপর তাতে রসুনের খোসা দিয়ে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন। এই চা সর্দি, কাশি, গলা ব্যথায় খুবই উপকারী।