বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিপরীতে একটি ডায়াগনষ্টিক ল্যাব থেকে ভুয়া চিকিৎসকসহ ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে আটককৃত ভুয়া চিকিৎসক ইমরান হোসাইন রানা নারায়নগঞ্জের পাগলা পূর্বপাড়া এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে। সে কিছুদিন ধরে কনিকা ডিজিটাল ডায়াগনষ্টিক ল্যাবে চেম্বার করা শুরু করেন।
রানা নিজেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার পরিচয় দিয়ে রোগীর সাথে প্রতারণা করে আসছিল। রানার ব্যবস্থাপত্রের প্যাডে এমবিবিএস (বিসিএস স্বাস্থ্য) ইএফএইচ (ইন্ডিয়া), এফসিপিএস (মেডিসিন) সিসিডি (বারডেম) ঢাকা উল্লেখ করেছেন।
অপর আটককৃতরা হচ্ছে ল্যাবের এক্সরে টেকনেশিয়ান সোহরাব ও তার সহকারী আব্দুর রাজ্জাক।
রোগীর স্বজন মো. হানিফ বলেন, মঙ্গলবার রাতে কলাপাড়া থেকে তার মা জয়ফুল বেগমকে ডাক্তার দেখাতে ওই ল্যাবে নিয়ে আসেন। আনার পর ল্যাবের দায়িত্বরত তার মায়ের রোগের ধরন শুনে রানাকে দেখাতে বলেন। তখন তিনি ভুয়া চিকিৎসক রানার শরনাপন্ন হন। রানা তার মায়ের পরীক্ষা-নীরিক্ষা করানোর জন্য ব্যবস্থাপত্র লিখে দেন। ওই ব্যবস্থাপত্র দেখাতে গেলে অপর চিকিৎসকরা বিষয়টি ধরে ফেলেন। এরপর তারা রানার ডাক্তারী পাশের কাগজপত্র দেখতে চান। এ সময় রানা তার পরিচয়পত্র এবং কিছু কাগজপত্র দেখান। তবে তা সঠিক না থাকায় পুলিশ ডেকে আনেন ল্যাবের চিকিৎসকরা। ঝালকাঠি সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র জেনারেল ফিজিশিয়ান ডা. রিফাত আহমেদ বলেন, ওই ল্যাবে তারও চেম্বার আছে। রানার ব্যবস্থাপত্র দেখে তার সন্দেহ হয়। পরিচয় জানতে চাইলে তার পরিচয়পত্র ও রেজিস্ট্রেশন নাম্বার দেখান। কিন্তু তা দেখে ভুয়া মনে হয়। এ সময় অন্য চিকিৎসকদের সহায়তায় রানাকে আটকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, কনিকা ডিজিটাল ডায়াগনষ্টিক ল্যাব থেকে একজন ভুয়া চিকিৎসককে আটক করা হয়েছে। এর সাথে ওই ল্যাবের এক্সরে টেকনেশিয়ান এবং তার সহকারীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় যথাযথ আইনগত প্রক্রিয়া নেয়া হচ্ছে।