পদ্মা রেলসংযোগ প্রকল্পের ঢাকা-ভাঙ্গা রেলপথের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পূর্বনির্ধারিত সময় সকাল ১১টায় মুন্সীগঞ্জের মাওয়া স্টেশনে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সড়কপথে গাড়িবহরে গণভবন থেকে মাওয়া পৌঁছান সরকারপ্রধান। এ সময় রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে হাজারো আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও স্থানীয় নারী-পুরুষ প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান। তাদের হাতে ছিল বিভিন্ন ধরনের ফেস্টুন-প্লাকার্ড, কণ্ঠে ছিল নানা স্লোগান।
প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর পৌঁছানোর সাথে সাথে পুরো এলাকা ‘জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু’ ও ‘শেখ হাসিনা সরকার বারবার দরকার’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে।
স্থানীয়রা জানান, পদ্মা সেতুর সড়কপথের পর অপেক্ষা ছিল রেলপথে ট্রেন চলাচলের। দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণের দিন আজ তাদের উল্লাসের দিন। প্রত্যাশার চাইতে অনেক বেশি কিছুই পদ্মার দুই পাড়ের মানুষ পেয়েছেন বলেও দাবি করেন তারা।
স্থানীয় নয়ন আক্তার বলেন, আগে মাওয়া থেকে ঢাকা যেতে ২-৩ ঘণ্টা সময় লাগত। এরপর প্রধানমন্ত্রী এক্সপ্রেসওয়ে করে দিলেন, পদ্মা সেতু করে দেলেন। এতে যাতায়াতে খুব সুবিধা হয়েছে। এখন রেলপথ চালুর মাধ্যমে আমাদের আর কোনো দুর্ভোগ থাকবে না, সহজেই আমরা ঢাকা যাতায়াত করব এবং সবচেয়ে সুবিধা হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের মানুষ তারা সহজেই ভোগান্তিহীন এবং যানজটহীনভাবে ঢাকা যেতে পারবে। শেখ হাসিনার সরকার বারবার দরকার।
স্থানীয় মীনা আক্তার বলেন, আজকে আমাদের উল্লাসের দিন। আমরা অনেক খুশি। প্রধানমন্ত্রী যেসব উন্নয়ন করেছেন সেগুলোর অনেক কিছুই আমরা প্রত্যাশাও করিনি।
মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সোহানা তাহমিনা বলেন, আজকে ঈদের আমেজ অনুভব হচ্ছে। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে এবং এই প্রথম ট্রেনে অংশগ্রহণ করে নিজেকে ধন্য মনে করছি। প্রধানমন্ত্রী এক অনন্য অবদান তৈরি করলেন এবং রেল নেটওয়ার্কের নতুন মাইলফলক হলো।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, মুন্সীগঞ্জের মাওয়া স্টেশন প্রাঙ্গণে সুধী সমাবেশে অংশ নিচ্ছে ১৬ শ দেশি-বিদেশি অতিথি। ঢাকা-ভাঙ্গা রেলপথ উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করে টিকিট কেটে বেলা ১২টায় মাওয়া স্টেশন থেকে ট্রেনে যাত্রা শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী। ৩৮৬ অতিথি প্রধানমন্ত্রীর সাথে ট্রেনযাত্রা সুযোগ পাবেন। দুপুর ১টায় ফরিদপুরের ভাঙ্গা জংশন পৌছাবেন প্রধানমন্ত্রী। বিকালে ভাঙ্গার কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামের জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।