তিন ছেলে নিয়ে শিউলি আছেন মহাঝামেলায়। তার ওপর শাশুড়ি বছর দুয়েক ধরে প্যারালাইজড। ঝক্কি সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় তাকে। কারণ বড় দুই ছেলেকে প্রতিদিন সকালে স্কুলে পাঠাতে হয়। ছোটটিরও যত্ন নিতে হয় নিয়মিত। তাছাড়া স্বামীর অফিস ও শাশুড়ির বাড়তি কাজ তো রয়েছেই। এত সব কাজের ভিড়ে পাগলপ্রায় শিউলির নিজের জন্য বরাদ্দ কোনো সময় নেই। কথায় বলে, সময়ের এক ফোঁড়, অসময়ের দশ ফোঁড়। সুতরাং আপনাকেই করতে হবে নিজস্ব টাইম ম্যানেজমেন্ট।
যাতে সারা দিনের কাজের চাপেও নিজের জন্য কিছু সময় বরাদ্দ থাকে। কীভাবে সময় সাশ্রয় করবেন, এমন কিছু কৌশল দেওয়া হলো আপনার জন্য: *প্রথমেই সপ্তাহে প্রতিদিনের কাজের একটি রুটিন করুন। কখন কীভাবে করবেন ছোট করে তাও নোট করে রাখুন। *পরিবারের সবাইকে সকালে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করতে হবে। ক্ষেএে ঘড়িতে অ্যালার্ম দিয়ে রাখুন যাতে সবাইকে জাগাতে গিয়ে আপনার সময়ের অপচয় না হয়। *আপনার স্বামীর সঙ্গে পারিবারিক সমস্যাগুলো শেয়ার করুন এবং দুইজনে মিলে সমাধানের চেষ্টা করুন। *স্বামীকে বোঝান যে, সংসার শুধু আপনার একার নয়। একসঙ্গে সংসার করতে হলে দুইজনের অংশ নেওয়াটা জরুরি।
*আপনার সন্তানদের নিজের কাজ নিজে করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এই অভ্যাস তাদের স্বাবলম্বী হতেও সাহায্য করবে। * প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখুন। দেখা যাচ্ছে, আপনি ও আপনার প্রতিবেশীর সন্তান একই স্কুলে পড়ে। এক্ষেত্রে একদিন আপনি, অন্যদিন আপনার প্রতিবেশী ছেলেমেয়েদের স্কুলে আনা-নেওয়ার কাজ করলে সময়ের সাশ্রয় হবে। * সম্ভব হলে দু-তিন দিনের খাবার একদিন রান্না করে ফ্রিজিং করে রাখতে পারেন। দেখবেন প্রতিদিনের রান্নার ঝামেলায় আপনাকে যেতে হবে না, বরং সময় বাঁচবে। যা করবেন না: * অযথা রেগে গিয়ে সবার সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না। * স্বামীর সঙ্গে বাচ্চাদের সামনে ঝগড়া করবেন না। * সময়ের অপচয় নিয়ে অযথা দুশ্চিন্তা বা বাড়াবাড়ি না করে বরং কীভাবে তা সাশ্রয় হবে সেটা ভাবুন। এখন থেকেই এসব মেনে চলা শুরু করুন। নিজের ও পরিবারের সদস্যদের যত্ন নিন।