নাটকীয়তায় ভরপুর এক ম্যাচ। ম্যাচ শেষে হাসি লিওনেল মেসির। হ্যাটট্রিক করে দলকে নিয়ে গেলেন রাশিয়ার বিশ্বকাপের মূলপর্বে। ম্যাচ শেষে দাবি করলেন, আর্জেন্টিনাকে ছাড়া বিশ্বকাপ ভাবাই যায় না।
তিনি বলেন, ‘আর্জেন্টিনাকে ছাড়া বিশ্বকাপ হয় নাকি! এই দলটা কোনোভাবেই বাছাইপর্ব থেকে বাদ পড়ার মত নয়। দলের সবাই এখন অনেক পরিপক্ব। মাঠের খেলায় সেটার প্রমাণ হয়েছে।’
সেই ২০১৬ সালের নভেম্বর থেকে গণমাধ্যমকে বয়কট করে রেখেছিল আর্জেন্টাইন ফুটবলাররা। মেসি মনে করেন সেই সিদ্ধান্তটা তাদের জন্য কার্যকর হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের ভাগ্য ভালো যে, সব কিছু ঠিকঠাক মত হয়েছে আর আমরা বিশ্বকাপের মূলপর্বে জায়গা নিশ্চিত করে ফেলেছি। ম্যাচে আমরা যেকোনো পরিস্থিতিতে শান্ত ছিলাম। শুধু গোলের দিকে মনোযোগী ছিলাম। সেটাই তো সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রেস থেকে দূরে থাকা আমাদের চাপমুক্ত রেখেছে।’
বলাবলি হচ্ছে, এই রাশিয়া বিশ্বকাপটাই হতে যাচ্ছে মেসির ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ। মানে, এটাই বিশ্বের ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ফুটবলারের বিশ্বকাপ জয়ের শেষ সুযোগ। তাই স্বাভাবিক ভাবেই আকাশচুম্বি চাপ নিয়ে খেলতে নেমেছিলেন মেসি। সেই চাপ জয় করতে পেরে উচ্ছ্বসিত তিনি। বললেন, ‘এখন ভারমুক্ত লাগছে। কারণ, সত্যিই আমরা একটা কঠিন অবস্থানে ছিলাম। বড্ড বেশি বিপাকে পড়ে গিয়েছিলাম। আর ইকুয়েডরে খেলাটা সহজ নয়। আর যখন ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে গেলাম তখন বের হয়ে আসাটা আরো শক্ত ছিল। ওই সময় মনের মধ্যে অনেক কিছু বলছি। তখন সবাই মিলে আমরা অবস্থানটা পাল্টে ফেলে লিড নিতে পেরেছি।’
লিওনেল মেসির এই প্রাপ্তির আনন্দ ছুঁয়ে গেল নেইমারকেও। মেসির সাবেক বার্সেলোনা সতীর্থ চিলির বিপক্ষে ৩-০ গোলে জয়ের পর তিনি বলেন, ‘মেসির সাফল্যে অনেক খুশি হয়েছি। বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে একসঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারাটাও বিশাল ব্যাপার। মেসির জন্য শুভকামনা। চিলিতেও আমার বন্ধু আছে। কিন্তু আমরা ফুটবলার। প্রতিটা ম্যাচে জয় পাওয়ার জন্যই আমরা খেলি।’