• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:

টিনএজারদের নিয়ে টেনশন নয়, সচেতন হোন,

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বুধবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৩

জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় টিনএজ মানে ১৩ থেকে ১৯ এর কিশোর বয়স। এই বয়সটা স্বপ্ন দেখার ও স্বপ্ন পূরণের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার।

তবে এই বয়সেই অনেকের জীবনে নেমে আসে অন্ধকার-হাতাশা।
বাড়ি থেকে কোচিং বা গ্রুপ স্টাডির নামে নিয়মিত বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যায় কেউ কেউ। পরিবারও অনেক সময় চেনে কোন বন্ধুর সঙ্গে তাদের ছেলে বা মেয়েটির বন্ধুত্ব গড়ে উঠছে। তবে এই বন্ধুত্ব-কখন বন্ধুত্বের গণ্ডি পেরিয়ে গেছে এটা হয়ত তারা বুঝতে পারেন না।

আর টিনএজারদের এমন সম্পর্ক কোনো কোনো ক্ষেত্রে বড় দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। বিশেষ করে মেয়েটির জন্য জীবনের হুমকি হয়ে দেখা দিতে পারে এই সম্পর্ক যদি অনিরাপদ শারীরিক সম্পর্ক পর্যন্ত যায়। অনেক সময় ঘটতে পারে ভয়াবহ গ্যাং রেপের ঘটনাও, যা থেকে মৃত্যুও হতে পারে তার।

মাদকের মতো ভয়াল নেশাও আচ্ছন্ন করতে পারে কোমলমতি টিনএজারদের। মাদকের বা পর্নগ্রাফির আসক্তি থেকে জড়িয়ে পড়তে পারে নানা ধরনের অপরাধে।

এই বয়সের ছেলে-মেয়েরা না বুঝে বা শখ করে অনেক ধরনের ভুল করে, যার পরিণতি অনেক সময়ই খারাপ হয়।

এদিকে তাদের এই সম্পর্কে জড়ানোর বিষয়ে পরিবারের কিছুই জানা থাকে না, ফলে তাদের কোনো বিপদ হলেও পরিবার জানতে বা বুঝতে অনেক সময় চলে যায়, যা আরও ভয়াবহ।

টিনএজারদের শারীরিক, মানসিক ও ব্যক্তিত্বের বিকাশ পুরোপুরি হয়ে ওঠে না, ফলে সম্পর্কের সম্মান দেওয়া বা এই সম্পর্ক চালিয়ে নিয়ে সঙ্গে নিজের পড়াশোনা ঠিকভাবে করে যাওয়া অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয় না।

নিজেকে নিরাপদ রাখতে টিনএজাররা কোথাও যাওয়ার আগে অন্তত একজন বন্ধুকে জানিয়ে দেবেন, কোথায় আছেন।

আর পরিবারের বাবা মা যখন সন্তানের এমন সম্পর্কের বিষয়ে জানবেন, তাকে মানসিক বা শারীরিক নির্যাতন করবেন না। তার পাশে থাকুন, প্রয়োজনে কোনো কাউন্সিলরের পরামর্শ নিতে হবে। মনে রাখতে হবে, মানসিকভাবে নির্যাতিত শিশুরা পরবর্তীতে বিষণ্নতা, হীনমন্যতায় ভোগার পাশাপাশি আত্মহত্যাপ্রবণ হয়ে ওঠে।

সম্প্রতি বেশ কিছু ঘটনা আমাদের ভাবাচ্ছে, একটা বড় ধরনের বিপদ হওয়ার পরে না কেঁদে, অভিভাবকরা আগেই সচেতন হোন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ