মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরিতে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ২৭৮ রান করেছে বাংলাদেশ। জিততে হলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে করতে হবে ২৭৯ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এটিই বাংলাদেশের দলীয় সর্বোচ্চ রান। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান ছিল ২৫২। এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে সেঞ্চুরি করেছেন মুশফিকুর রহিম। ম্যাচ শেষে তিনি ১১০ রানে অপরাজিত থাকেন। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের ওয়ানডের এক ইনিংসে এটিই সর্বোচ্চ রান। এর আগে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সৌম্য সরকার চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ ৯০ রানের ইনিংসটি খেলেছিলেন।
এর আগে প্যাটারসনকে কাভারের উপর দিয়ে উড়িয়ে মেরে ক্যারিয়ারের ২৭তম ওডিআই ফিফটি তুলে নিয়েছেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। দুর্দান্ত কিছু শট খেলে মুশফিক ১০৮ বলে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি তুলে নেন। তার ব্যাটিং নৈপুণ্যে ৫০ ওভারে বাংলাদেশ ৭ উইকেটে ২৭৮ রান সংগ্রহ করে।
এর আগে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। তামিমের ইনজুরিতে ওপেনিং করতে নামেন ইমরুল কায়েস ও লিটন দাস। তাদের ওপেনিং জুটিটা ভালই খেলছিল। তবে খুব বেশিদূর যেতে পারলেন না। দলীয় ৪৩ রানে কাগিসো রাবাদার শিকার হয়ে ফিরে যান লিটন। আউট হওয়ার আগে ২৯ বল থেকে চারটি চারের মারে করেন ২১ রান। ওয়ান ডাউনে খেলতে নামেন সাকিব।
এরপর দলীয় ৬৩ রানে আরেক ওপেনার ইমরুল কায়েসও সাজঘরের পথ ধরেন। প্রিটোরিয়াসের বলে কুইন্টন ডি ককের হাতে ধরো পড়েন তিনি। আউট হওয়ার আগে ৪৩ বল থেকে ৪টি চার ও একটি ছক্কার মারে করেছেন ৩১ রান। কায়েসের বিদয়ের পর মুশফিক ও সাকিব ইনিংসের হাল ধরেন। ইনিংসের ২৬তম ওভারে ইমরান তাহিরের গুগলিতে বিভ্রান্ত হয়ে আমলার হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন সাকিব (২৯)। চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রিটোরিয়াসের বলে আউট হন মাহমুদুল্লাহ। তার আগে তিনি ২৬ রান করেন। ১৯ রানে রাবাদার বলে আউট হন সাব্বির রহমান। এর পর আউট হওয়ার আগে ৮ বলে ১১ রান করেন নাসির হোসেন। ওয়ানডে অভিষেক হওয়া সাইফুদ্দিন ১১ বলে ১৬ রান করেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ৪৩ রান দিয়ে ৪ চার উইকেট নেন রাবাদা।