বাংলাদেশের দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ যে কঠিন হবে তা আগে থেকেই ভেবেছিল সবাই। টেস্ট সিরিজে ছিলেন না বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সাথে যুক্ত হয়েছিল ক্রিকেটারদের ইনজুরি। দ্বিতীয় টেস্টে ছিলেন না তামিম ইকবাল। টেস্ট সিরিজে লজ্জাজনক হারের পর ওয়ানডে সিরিজে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ছিল বাংলাদেশের। তবে কিম্বার্লিতে প্রথম ওয়ানডেতেও ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে ম্যাশবাহিনী। বিশ্রাম কাটিয়ে ওয়ানডে সিরিজে সাকিব ফিরলেও প্রথম ম্যাচে ইনজুরির কারণে দলে ছিলেন না তামিম ইকবাল ও মুস্তাফিজুর রহমান। এই ম্যাচের পর ইনজুরিতে পড়েছেন শতক হাঁকানো মুশফিকুর রহিম।
সবকিছু ঠিক থাকলে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচেই দেখা যাবে তামিম ইকবালকে। তবে মুস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে শঙ্কা। অ্যাঙ্কেলের চোটে চলতি সফরে মুস্তাফিজকে পাওয়ার সম্ভাবনা একদম কম। গতকাল (অক্টোবর ১৫) ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মুস্তাফিজের ইনজুরি নিয়ে মাশরাফি জানিয়েছেন, ওয়ানডে সিরিজের পুরোটাই মিস করবেন মুস্তাফিজ। এমনকি এরপর টি-টোয়েন্টি সিরিজটিতেও মাঠের বাইরে থাকতে পারে কাটার মাস্টারকে। একই সুর বাংলাদেশ দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর কণ্ঠেও, ‘এমনটাই মনে হচ্ছে। এখন পর্যন্ত যতটুকু দেখছি, ওয়ানডে সিরিজের পুরোটাই সম্ভবত খেলা হবে না তাঁর (মুস্তাফিজ)।’
তবে টাইগারদের দুঃসংবাদ যেন পিছু ছাড়ছেই না। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে প্রথম ওয়ানডেতে লজ্জাজনক হারেও ছিল একমাত্র প্রাপ্তি মুশফিকুর রহিমের শতক। কিন্তু সেই মুশফিকও পড়েছেন চোটে। হ্যামস্ট্রিংয়ে চোটের কারণে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মুশফিকের খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। মুশফিকের ইনজুরি নিয়ে মিনহাজুল আবেদীন বলেছেন, ‘তাঁর (মুশফিক) হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট লেগেছে। আমরা এখনই কিছু বলতে পারব না। আরও বেশি কিছু জানতে আমাদের কেপটাউন যেতে হবে।’
১৮ অক্টোবর পার্লের বোল্যান্ড পার্কে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে। সেই ম্যাচকে সামনে রেখে গতকালই কেপটাউনে পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল। এখানেই স্ক্যান করা হবে মুস্তাফিজের। অন্যদিকে কেপটাউনেই জানা যাবে মুশফিকের বর্তমান পরিস্থিতি।