রংপুর অফিস॥
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের গোপাল গ্রাম থেকে গত সোমবার রাতে দীপক চন্দ্র রায় (২২) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার সহ দুই জনকে আটক করেছে কাউনিয়া থানা পুলিশ।
নিহত দীপক চন্দ্র রায় গোপাল গ্রামের শ্রী উপিন চন্দ্র রায়ের ছেলে।
থানা ও পারিবারিক সুত্রে জানাগেছে, দীপক চন্দ্র ও তাঁর স্ত্রী হীরা রানী রংপুর মহানগরের মুন ক্লিনিকে কাজ করতো এবং তাঁরা মুন ক্লিনিকের পাঁচ তালাতেই বসবাস করতো। গত সোমবার সন্ধা সাড়ে ৬ টার দিকে ওই ক্লিনিক থেকে বে-সরকারী একটি এম্বুল্যান্সে করে ক্লিনিকের দুই জন স্টাফ দীপকের লাশ কাউনিয়ায় দীপকের গ্রামের বাড়ীতে নিয়ে আসে।
নিহতের স্ত্রীর পরিবার জানায়, দীপক সবার অজান্তে ক্লিনিকের একটি কক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে নিহতের পরিবারের অভিযোগ তাঁকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে আত্মহত্যার বলে চালিয়ে দেয়ার পায়তারা করছে।
এদিকে দীপকের মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হলে পরিবার ও গ্রামের লোকজন মুন ক্লিনিকের কর্মচারী রহিদুল ও পলাশ কে আটক করে। খবর পেয়ে কাউনিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ ও আটককৃতদের উদ্ধার করে।
কাউনিয়া থানার ওসি মামুন অর রশিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রথমে আমরা লাশ উদ্ধার করি, কিন্তু দীপকের মৃত্যুর ঘটনাস্থল রংপুর শহরে, তাই সদর থানা পুলিশ নিহতের লাশ তাদের হেফাজতে নিয়ে ময়না তদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
রংপুর কোতয়ালী থানার ওসি মোঃ বাবুল মিয়া জানান, হত্যা না আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রকৃত রহস্য জানা যাবে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ক্লিনিকের কর্মচারী রহিদুল ও পলাশ দুইজনকে আটক করা হয়েছে।