• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৬ পূর্বাহ্ন

গর্ভাবস্থায় মেইকআপ নয়

আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৭

ভারতীয় চিকিৎসা কেন্দ্র নার্চার আইভিএফ সেন্টার’য়ের স্ত্রীরোগবিশেষজ্ঞ অর্চনা ধাওয়ান বাজাজ এবং ‘ভারতের আকাশ হেলথকেয়ার’য়ের পরামর্শদাতা ও ধাত্রীবিদ্যাবিশারদ তরুণা দুয়া জানিয়েছেন এড়িয়ে চলতে হবে এমন কিছু পণ্য ও প্রসাধনী সম্পর্কে

* লিপস্টিক, লিপ-গ্লস, লিপ বাম, আইলাইনার, মাসকারা, ডিওডোরেন্ট, ফাউন্ডেশন, বডি অয়েল, ট্যালকম পাউডার, হেয়ার রিমুভাল ক্রিম এবং হেয়ার ডাই গর্ভবতী নারীর জন্য বয়ে আনতে নানাবিধ দুঃসংবাদ।

এদের মধ্যে আছে গর্ভপাত, বন্ধ্যাত্ব, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, ‘এন্ডোক্রিন’ বা রক্তে হরমোন ও অন্যান্য উপদান সরাসরি নিঃসরণকারী গ্রন্থির ক্ষতি, অপুষ্ট শিশু প্রসব করা, ‘এন্ডোমেট্রিওসিস’, জরায়ুর একটি রোগ যার কারণে শ্রোণী অঞ্চলে তীব্র যন্ত্রণা সৃষ্টি হয়, জন্মদোষ, নবজাতকের স্নায়বিক ক্ষতি, ডিম্বাশয়ে ক্যান্সার এবং ত্বকের নানাবিধ অ্যালার্জি।

* সবচাইতে ক্ষতিকর হল ব্রণ সারানোর দাবি করে এমন ক্রিম ও জেলজাতীয় প্রসাধনী। ক্রিমে থাকে ‘রেটিনয়েডস’, যা গর্ভপাত এবং গর্ভের শিশুর অস্বাভাবিক মস্তিষ্ক বিকাশেল জন্য দায়ী। তাই গর্ভাবস্তায় ব্রণ সারানো ক্রিম বন্ধু নয়, শত্রু।

* সাবান ও অন্যান্য ব্যক্তিগত পরিষ্কারক প্রসাধনীতে ‘অ্যান্টি-মাইক্রোবায়াল’ উপাদান হিসেবে ব্যববহার করা হয় ‘ট্রিইক্লোসান’ ও ‘ট্রাইক্লোকারবান’। এই উপদানগুলো বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার জন্য দায়ী।

* সাবান, শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনারে থাকা আরেকটি ‘প্রিজারভেটিভ’ সংরক্ষণকারী উপাদান হল ‘পারাবেনস’, যা ব্যাকটেরিয়া বিস্তার রোধ করে। তবে এর অতিরিক্ত মাত্রা নারীর সন্তান ধারণের ক্ষমতা কমায়।

* নেইল পলিশে থাকা ‘ফরমালডিহাইড’ ও অন্যান্য উদ্বায়ী জৈব উপাদান নবজাতকের জন্মগত সমস্যা এবং নারীর উর্বরতা কমাতে পারে।

* নখে চকচকে ভাব আনার প্রসাধনীতে একটি বহুল ব্যবহৃত দ্রাবক হল ‘টোলুইন’। এটি শরীরের কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে এবং প্রজনন ক্ষমতা কমায়।

* প্রায় সকল প্রসাধনীতে ‘ফ্যালেইটস’ নামক রাসায়নিক উপদান পাওয়া যায়, যা হরমোনের মাত্রায় তারতম্য ঘটায়, নারীর উর্বরতা কমায় এবং মায়ের বুকের দুধের সঙ্গে মিশে যায়।

* অধিকাংশ সানস্ক্রিন, লিপ বাম এবং ‘সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর (এসপিএফ)’ আছে এমন প্রসাধনীতে থাকে ‘অক্সিবেনজোন (বেনজোফেনন), অক্টিনোক্সেট এবং ‘হোমোসেলেট’। এগুলো ‘এন্ডোমেট্রিওসিস’ রোগের পেছনে দায়ী এবং প্রজনন ব্যবস্থাকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ