ফরিদপুর প্রতিনিধি॥
ধারাবাহিক ভাবে মুসলধারে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় ফরিদপুরে চাষীদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গত তিন দিনের বৃষ্টিতে ফরিদপুর জেলা প্রায় সাড়ে তিনশ হেক্টোর জমির ফসল নষ্ট হয়েগেছে। জেলায় তিনদিনে ২০০ মিলি মিটার বৃষ্টি রেকড করা হয়। এর ফলে চাষীদের আগাম শীতকালিন সবজী, পেয়াজ ও রোপা আমন ক্ষেতে পানি জমে ক্ষতির মুখে পড়েছে।
নি¤œচাপের প্রভাবে সারাদেশের সাথে ফরিদপুর জেলাও প্রায় অচল হয়ে পড়ে জনজীবনে। এই ধারাবাহিক বৃষ্টিপাতে জেলার সাড়ে ৩শ হেক্টর জমিতে পানি জমে যায়।
সরেজমিনে জেলার সদর উপজেলার চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের কয়েকটি মাঠে গিয়ে দেখা যায়, আগাম শীতকালিন বিভিন্ন ধরেন সবজি ও পিয়াজ-রশুন, সরিষা, মরিচ ক্ষেত্রে বড় ধরনে ক্ষতি হয়েছে। ভারী বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় রোপা আমন ধানগাছ মাটি পড়ে নষ্ট হয়েছে। ক্ষেতে পানি জমে সবজি ও পেয়াজ-রশুন পচে গেছে। কৃষকরা জানিয়েছে, তাদের এই ক্ষতি অপূরনীয়। সব ক্ষেত আবার চাষাবাদ করতে হবে ।
আবজাল মন্ডলের ডাঙ্গী এলাকার পিয়াজ চাষী হারুন মাতুব্ব জানান, তিন একর জমিতে পিয়াজ বীজ লাগিয়ে ছিলাম, সব ক্ষেতে এখন পানি, এই বৃষ্টি সর্বনাশ করে দিয়েছে। পিয়াজ চাষ করতে লোন করেছিলাম। জানিনা কিভাবে আবার চাষ করবো।
ফরিদপুর সদর উপজেলার চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তুহিন মন্ডল জানান, হঠাৎ এই বৃষ্টিতে আমার এলাকায় ৫০ হেক্টর জমির পিয়াজ ক্ষেক নষ্ট হয়েছে, এছাড়াও শীতকালিন বিভিন্ন ধরনের সবজির ক্ষেতও পানি জমেছে। কৃষকের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে অনেক, গরিবদের তো আল্লাহ ছাড়া দেখার নেই।
ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জি এম আব্দুত রউফ বলেন, ‘ধারাবাহিক এই বৃষ্টিতে শীতকালিন আগাম সবজির লাল শাক, মুলা শাক, পুইশাকসহ রোপা আমনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন, জেলার চাষীর ক্ষতির পরিমান তালিকা করা হচ্ছে’।