• রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৪৭ অপরাহ্ন

২১ দিনে রিজার্ভ কমল পৌনে দুই বিলিয়ন ডলার

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : রবিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২৪
ফাইল ছবি

আমদানির চাহিদা অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রা বা রিজার্ভ না থাকায় প্রতিদিনই ডলার বি‌ক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফ‌লে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে।

চলতি মাসের শুরুতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার। যা গত ২১ দিনে ১৭৬ কোটি ৩০ ডলার কমে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫২৩ কোটি ডলারে। আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ১৭৫ কোটি ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ প্রতিবেদন থেকে রিজার্ভের এ চিত্র পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রোস রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ২ হাজার ৫৩৩ কোটি (২৫ দশমিক ২৩ বিলিয়ন) ডলার। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী বিপিএম-৬ ম্যাথোডের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবের সঙ্গে ৫২১ কোটি (৫.২১ বিলিয়ন) ডলারের পার্থক্য রয়েছে। অর্থাৎ বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী গ্রস রিজার্ভ ২ হাজার ২ কোটি ডলার বা ২০ দশমিক ০২ বিলিয়ন। অর্থাৎ ২১ দিনে গ্রোস রিজার্ভ কমেছে ১৭৭ কোটি ডলার ( ১ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন) এবং বিপিএম-৬ কমেছে ১৭২ কোটি ডলার ( ১ দশমিক ৭২ বিলিয়ন)।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরুতে গ্রোস রিজার্ভ ছিল ২৯.৭৩ বিলিয়ন ডলার আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী ছিল ২৩ দশমকি ৩৭ বিলিয়ন ডলার।

এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা শুধুমাত্র আইএমএফকে দেওয়া হয়। প্রকাশ করা হয় না। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই হিসাবে দেশের প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৬ বিলিয়ন ডলারের নিচে।

প্রতি মাসে প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার হিসেবে এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটাতে কষ্টসাধ্য হবে বাংলাদেশের জন্য। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ এখন শেষ প্রান্তে রয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সংকটের কারণে রিজার্ভ থেকে বাজারে প্রচুর ডলার বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া এ মাসে আকুর বিলও পরিশোধ হয়েছে। রপ্তানি ও রেমিট্যান্স প্রবাহ কম থাকায় রিজার্ভ কমছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ