লালমনিরহাট প্রতিনিধি॥
পুর্ব শত্রুতার জের ধরে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে মাদরাসা ছাত্রসহ দুই সহোদরকে এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার(২২ অক্টোবর) দিনগত গভির রাতে উপজেলার গোড়ল ইউনিয়নের চৌপতি মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।দগ্ধরা হলেন, ওই চৌপতি মোড় এলাকার আবুল কালামের ছেলে ঢাকাস্থ কো¤পানী কর্মচারী ফরহাদ হোসেন(২৪) ও তার চাচাত ভাই জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে নুর হক(১৫)। নুর হক স্থানীয় গোড়ল দাখিল মাদরাসার ৯ম শ্রেনীর ছাত্র।স্থানীয়রা জানান, ৭/৮ বছর আগে তাদের প্রতিবেশী গজোল উদ্দিনের মেয়ে তানজিলা আক্তার অপহরন মামলায় এজাহার নামীয় আসামী ফরহাদ হোসেন হাজতবাস করেন কিছু দিন। এরপর জামিনে মুক্ত হয়ে ঢাকাস্থ একটি কো¤পানীতে চাকুরী নেন ফরহাদ। ওই মামলায় রোববার(২৩ অক্টোবর) আদালতে হাজিরা দেয়ার জন্য শনিবার রাতে বাড়ি ফিরেন ফরহাদ। এরপর চাচাত ভাই নুর হকসহ ঘুমিয়ে পড়েন। হঠাৎ ভোর রাতে দুইজন মুখোশধারী লোক তাদের এসিড নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়।এসময় তাদের আতœ চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাদের আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে কালীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে রোববার দুপুরে চিকিৎসকরা ফরহাদকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ণ ইউনিটে পাঠান।
আহত ফরহাদের বাবা আবুল কালাম বলেন, মিথ্যা মামলা করে হয়রানী করে ব্যর্থ হয়ে গজোল উদ্দিনের ছেলে সবুজ মিয়া ফরহাদকে মেরে ফেলতে এসিডে ঝলসে দিয়েছে। তিনি এর বিচার দাবি করেন। তবে অভিযুক্ত গজোল উদ্দিন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার ছেলে সবুজ ল¤পট হলেও এমন কাজ করতে পারে না।কালীগঞ্জ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আহসান হাবীব বলেন, ফরহাদের মুখমন্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যাওয়ায় তাকে রংপুরে পাঠানো হয়েছে। অপরজনকে কালীগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
কালীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এসিড নিক্ষেপের ঘটনাটি শুনে হাসপাতালে দগ্ধদের খোঁজ খবর নেয়া হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কোন অভিযোগ পাওয়া যায় নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।