৬ হাজার মেট্রিক টন শষ্যের সাশ্রয়
রংপুর প্রতিনিধি॥
রংপুর অঞ্চলের পাঁচ জেলায় গতবছর ৮ লাখ ৭ হাজার ৭৬৯ ইঁদুর নিধন করা হয়েছে। গত মৌসুমে কৃষিকর্র্মী, কৃষক, ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ ৩ লাখ ২৭হাজার ১১৩ জন ইঁদুর নিধন অভিযানে অংশগ্রহণ করেন। এতে রংপুর অঞ্চলে দানা শস্যের সাশ্রয় হয়েছে প্রায় ৬ হাজার ৫৮ দশমিক ২৬৭৫ মে.টন। গতকাল মঙ্গলবার রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জেলা ও সদর উপজেলার যৌথ ব্যবস্থাপনায় ইঁদুর নিধন অভিযান-২০১৭ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আয়োজকরা এ তথ্য দেন। সভায় ফসলে ইঁদুর নিধনের গুরুত্ব ও পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ শাহ আলম-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রংপুর জেলার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ স.ম. আশরাফ আলী, বিএডিসি (বীজ বিপণন) এর উপপরিচালক কৃষিবিদ ড. মোঃ সুলতানুল আলম। গত মৌসুমে রংপুর অঞ্চলে মিঠাপুকুর উপজেলার রনজিত কেরকাটা ২৭হাজার ৫০৭ টি, গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মোঃ চান মিয়া ৫ হাজারটি, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোঃ ইছার আলী ১১ হাজার ২১০টি, লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার মোঃ জহিরুল ইসলাম ৯ হাজার ৮২০টি এবং নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার মোঃ আব্দুল জলিল ১২ হাজার ১২৯ টি ইঁদুর নিধন করে কৃষক পর্যায়ে পুরস্কৃত হয়েছেন। রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার মোঃ রাশেদুল ইসলাম তাঁর ব্লকে ৩০হাজার ১০০টি এবং মিঠাপুকুর উপজেলার মোঃ মাহফুজুর রহমান তাঁর ব্লকে ২৫ হাজার ৪১০টি ও মোঃ আমিনুল ইসলাম তাঁর ব্লকে ২৫ হাজার ২২০টি ইঁদুর নিধন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পর্যায়ে পুরস্কৃত হয়েছেন। রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলা ২লাখ ৪ হাজার ২৪৩টি ইঁদুর নিধন করায় শ্রেষ্ঠ উপজেলা এবং মিঠাপুকুর উপজেলার এস কে কাসেম উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকা মিলে ১২ হাজার ৪৫০টি ইঁদুর নিধন করায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছে। অনুষ্ঠানের রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার উপ পরিচালক, অতিরিক্ত উপ পরিচালক (উদ্ভিদ সংরক্ষণ)-গণসহ রংপুর জেলার জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা, সকল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকতা, উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কৃষি কর্মকর্তা ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি), বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি), বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা)-এর আঞ্চলিক কেন্দ্রের কৃষি বিজ্ঞানী এবং বিএডিসির কর্মকর্তাগণ আলোচনায় অংশ নেন।