ফরিদপুর প্রতিনিধি॥
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) সুভাস চন্দ্র সাহাকে (ফরিদপুর থেকে) ঢাকা পুলিশ সদও দপ্তরে প্রত্যাহার করা হয়েছে । তার ও তার স্ত্রীর নামে ঢাকায় মামলা করেছে দুদক ।
ফরিদপুরের (ভারপ্রাপ্ত) পুলিশ সুপার জামাল পাশা জানিয়েছেন, গত ২২ তারিখে তাকে (সুভাষ সাহা)কে ঢাকায় পুলিশ হেডকোয়ার্টারে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তিনি ওই দিনই ফরিদপুর পুলিশ সুপারের দায়িত্ব আমাকে বুঝিয়ে দিয়েছেন। তিনি গত ৫ নভেম্বর ফরিদপুরে পুলিশ সুপার হিসাবে যোগদান করেন।
মঙ্গলবার রাজধানীর বংশাল থানায় পুলিশ কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী রীণা চৌধুরীর বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবদুল ওয়াদুদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
তাদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে অর্জিত ওয়ান ব্যাংকের ১৯টি এফডিআরে সাড়ে ৮ কোটি টাকা পাওয়ায় মামলা অনুমোদন দিয়েছিল দুদক।
গত ১১ সেপ্টেম্বর স্ত্রীসহ ওই পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে মামলা অনুমোদন দিয়েছিল কমিশন। মামলা নম্বর ৩৭।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দুদকের অনুসন্ধানে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার সুভাষ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী রীনা চৌধুরীর যৌথ নামে ৮ কোটি ৩৬ লাখ ১৩ হাজার ৩৬৭ টাকার এফডিআর পাওয়া যায়। যা ওয়ান ব্যাংকের রাজধানীর বংশাল শাখা ও এলিফ্যান্ট রোড শাখা এবং যশোরের ওয়ান ব্যাংক শাখাতে গচ্ছিত ছিল। কিন্তু পুলিশ সুপার ওই অর্থ দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণী কিংবা আয়কর নথি উপস্থাপন না করে গোপন রেখেছেন। এমনকি দুদকের অনুসন্ধানেও ওই আয়ের যথাযথ উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি।
গচ্ছিত টাকার মধ্যে ওয়ান ব্যাংকের বংশাল শাখার ৬টি এফডিআরে ২ কোটি ৮১ লাখ ১৪ হাজার ৪৬৭, এলিফ্যান্ট রোড শাখায় ১টি এফডিআরে ২১ লাখ ৪৪ হাজার ৪২ এবং যশোরের ওয়ান ব্যাংক শাখাতে ১২টি এফডিআরে ৫ কোটি ৩৩ লাখ ৫০ হাজার ৮৫৮ টাকা পাওয়া যায়।