চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি॥
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে ১০ থাপ্পড় মারায় এক দারগার বিরুদ্ধে ৫ দপ্তরে অভিযোগ করেছেন এক ব্যক্তি। পুলিশ সুপারকে বরারব করে গত ২৩ অক্টোবর লিখিত অভিযোগের বিবরণে জানা যায়, উপজেলার গোপিনাথপুর গ্রামের মৃতঃ শুকুর আলীর ছেলে জোহর আলী(৬৬)। গত ১৭ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার স্ত্রী হেনা বেগমের সাথে সাংসারিক দ্বন্দের সৃষ্টি হয়। পরদিন রাত ১০টার দিকে ভোলাহাট থানার এসআই সিরাজ জোহরের বাড়ী গিয়ে তাকে এবং তার ছেলে লালকে থানায় হাজির হতে বলেন। বিষয়টি থানা পর্যন্ত গড়ায় জোহর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ইয়াজদানী জর্জকে অবিহিত করেন। ব্যাপারটি চেয়ারম্যান তাৎক্ষণিক জোহরের উপস্থিতিতে অফিসার ইনর্চাজের সাথে যোগাযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় ভাবে মিমাংশার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু তারপরও এসআই সিরাজ ১৯ অক্টোবর রাত প্রায় ১২টার দিকে জোহরের বাড়ীতে হানা দেয়। এ সময় ছেলে খাইরুল ইসলাম কারণ জানতে চাইল এসআই সিরাজ কোন উত্তর না দিয়ে এলোপাথাড়ি কানের উপর ৮/১০টি থাপ্পড় মেরে থানায় হাজিরের নির্দেশ প্রদান করেন এবং হাজির না হলে মামলা দিয়ে ধরে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। অভিযোগপত্রে আরো উল্লেখ করেন, এসআই সিরাজের থাপ্পড়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত ভোলাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয় খাইরুলকে। প্রতিকার চেয়ে অভিযোগটির অনুলিপি ডিআইজি রাজশাহী রেঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক, ভোলাহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভোলাহাট থানার অফিসার ইনর্চাজ বরাবর দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে দায়িত্বরত চিকিৎসক আঘাতের কারণে খাইরুলের মাথায় সমস্যা হয়েছে। তবে চিকিৎসা নিয়ে সেরে উঠেছে বলে জানান। এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান ইয়াজদানী জর্জ ঘটনার সত্যতা প্রকাশ করে বলেন, এসআই সিরাজ এছাড়াও অকারণে বাহাদুরগঞ্জ গ্রামের সেকান্দারের ছেলে মিস্ত্রি শওকাত, দূর্গাপুজার সময় এক সংখ্যালঘুকে মারপিট করেন। তিনি এ দায়ি ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী করেন। । এ ঘটনায় এসআই সিরাজের সাথে যোগাযোগ করা হলে অভিযোগটি সম্পন্ন মিথ্যা। জোহরের স্ত্রীর অভিযোগের প্রেক্ষীতে তাদের বাড়ী গিয়েছিলেন বলে জানান। তবে তার ছেলেকে থাপ্পড় মারার অভিযোগটি অস্বীকার করেন।