সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি॥
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ইউপি সদস্যের হাতে গুরুতর জখমের এক মাস পর পৌরসভার লাইসেন্স পরিদর্শক ও যুবলীগ নেতা মারুফ হাসানের (৩৫) মৃত্যু হয়েছে। বৃহষ্পতিবার সকালে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে তিনি মারা যান।
এ খবরটি ছড়িয়ে পড়ার পর মারুফ হাসানের ওপর হামলাকারী ইউপি সদস্য মোবারক হোসেন রাজার বাড়িঘর ভাংচুর ও পুড়িয়ে দেয় এলাকাবাসী। বিক্ষুব্ধরা তারাকান্দি এলাকার প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করে রাখে। অনির্দিষ্টকালের জন্য যমুনা সার কারখানার পরিবহণসহ সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় বিক্ষোভকারীরা।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্র জানায়, গত ২০ সেপ্টেম্বর (বুধবার) সকালে সরিষাবাড়ী পৌরসভার লাইসেন্স পরিদর্শক মারুফ হাসান (৩৫) ও যমুনা সার কারখানার শ্রমিক লাল চাঁন (৩৮) কর্মস্থলে যাওয়ার পথে আওনা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য মেন্দারবেড় গ্রামের আব্দুল গণির ছেলে মোবারক হোসেন রাজা (৩৩) তাঁদের ওপর হামলা চালায়। ধারালো চাপাতির আঘাতে গুরুতর জখম হওয়ায় তাঁদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মারুফ হাসানের অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। বৃহষ্পতিবার সকাল ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে থানার ওসি রেজাউল ইসলাম খান বলেন, ‘মারফ হাসানের ওপর হামলার ঘটনায় ওইদিনই অভিযান চালিয়ে ইউপি সদস্য মোবারক হোসেন রাজাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তখন তার কাছ থেকে একটি পিস্তলসহ দু’টি অস্ত্র পাওয়া যায়। ওই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে পৃথক আইনে তিনটি মামলা হয়।’ ইউপি সদস্য রাজা থানার তালিকাভূক্ত শীর্ষ সন্ত্রাস ও অন্তত ১০টি মামলার আসামী বলেও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে।
এদিকে মারুফ হাসানের মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীসহ এলাকাবাসী যমুনা সার কারখানা সড়ক অবরোধ করে। রাস্তায় টায়ারে অগ্নিসংযোগ ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে এক প্রতিবাদ সভায় তারা পৌর কর্মচারীর হত্যাকারী ও তার ঈন্ধনদাতাদের বিচার দাবি করেন। অপরদিকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ইউপি সদস্য রাজার বাড়িঘরে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেয়। এ সময় পার্শ্ববর্তী যমুনা সার কারখানা মসজিদের মোয়াজ্জিম হাফেজ রফিক মিয়ার বাড়িতেও তারা অগ্নিসংযোগ করে। মোয়াজ্জিমের স্ত্রী হাজেরা বেগম অভিযোগ করেন, ‘হামলাকারীরা বিনা কারণে তাদের ৪টি ঘর পুড়িয়ে সমস্ত মালামাল লুট ও প্রতিবন্ধী মেয়ে রেহেনা বেগমকে মারধর করে।
তারাকান্দি তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক জোয়াহেরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।