আড়াইহাজারের কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন চৌধুরীর হাত ও পা ভেঙে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে উপজেলার কালাপাহাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ উঠেছে, গতকাল বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত এ ঘটনায় মামলা দায়েরের চেষ্টা করেছেন ভুক্তভোগী। কিন্তু পুলিশ মামলা নেয়নি।
হাসপাতালে ভর্তি সালাউদ্দিন চৌধুরীর স্ত্রী আনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে ৫ জনের বিরুদ্ধে আড়াইহাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়েরের চেষ্টা করছিলেন।
ওই অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, বিএনপির রাজনীতি করার কারণে একই গ্রামের রাজ্জাক মোল্লা ওরুফে রেজেক (৫০) সামাজিক খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে অর্থ দাবিসহ হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল। ঘটনার দিন রাজ্জাকসহ তার ছেলে শরিফ (২৮), সজিব (২৫), মজিবুর রহমানের ছেলে বাবু (২৫) ও জাহাঙ্গীরের ছেলে ফরহাদসহ (২৫) অজ্ঞাত ১০-১২ জন দেশীয় অস্ত্র-দা, হকিস্টিক নিয়ে সালাউদ্দিন চৌধুরীর উপর হামলা চালায়।
এ সময় সালাউদ্দিন চৌধুরীর বাম হাত ও ডান পায়ের হাড় ভাঙাসহ গুরুতর আহত হন। পরে হামলাকারীরা ২ লাখ ১৮ হাজার টাকা ও ৪০ হাজার টাকা মূল্যের একটি স্মার্ট ফোন লুট করে পালিয়ে যায়।
আহত সালাউদ্দিন চৌধুরীকে প্রথমে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় পরে তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে রেফার করা হয়। সালাউদ্দিন চৌধুরী বর্তমানে আল বারাকা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আনোয়ারা বেগম বলেন, ঘটনার পর থেকে গতকাল বুধবার পর্যন্ত আমি মামলা দায়েরের চেষ্টা করছি। লিখিত অভিযোগ নিয়ে ঘুরছি। কিন্তু পুলিশ মামলা নিচ্ছে না। কেন নিচ্ছে না বলতে পারছি না।
পুলিশ মামলা নিচ্ছে না কেন এ ব্যাপারে আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান উল্লাহর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোনো অভিযোগ পাইনি। পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।