চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি॥
শিবগঞ্জে চাকুরী দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীরা। ঘটনাটির শিকার হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার দূর্লভপুর ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের কামালের ছেলে জনি ও মনাকষা ইউনিয়নের হাউসনগর গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে জাকারিয়া এবং তাদের সহায়তাকারী সাহাপাড়া গ্রামের আলহাজ আয়েশ উদ্দিনের ছেলে জোবু। ভুক্তভোগী জোবু সাংবাদিকদের নিকট জানান, প্রায় দুই বছর আগে আমের ব্যবসার সূত্র ধরে নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর থানার সৈয়দপুর গ্রামের তোসিসাহার ছেলে মুরসেদের সাথে পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে সেনানিবাসের মালি পদে চাকুরীর দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে আমার নিকট দুটি ছেলে চাই। আমি তার ছলচাতুরী বুঝতে না পেরে আমার দুইজন আত্মীয়ের নিকট হতে কয়েক কিস্তিতে সাড়ে ১৪ লাখ টাকা নিয়ে মুরসেদ ও তার শেয়ারদার আলমকে দিয়েছি। প্রথম দিকে মুরসেদের শিয়ারদার আলম ও ভুক্তভোগী দুইজনকে নিয়ে সৈয়দপুরে কয়েকবার দেখা করেছি। তখন তিনি বলেছিলেন অল্পকিছুদিনের মধ্যে চাকুরীদে যোগদান করাবো। কয়েকমাস ঘুরাঘুরি করার পর মুরসেদ ও আলম বাড়ি থেকে উধাও হয়ে গেছে। তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করতে পারছি না।এদিকে ভুক্ত ভোগী জনি ও জাকারিয়া জানান আমরা, আমাদের আত্মীয় জোবুর মাধ্যমে চাকুরীর আশায় সাড়ে ১৪ লাখ টাকা দিয়েছি। কয়েকবার তার সাথে সৈয়দপুর গেছি। তখন মুরসেদ ও আলম আশার বানী শুনালেও পরে আর যোগাযোগ করতে পারিনি। এব্যাপারে মুরসেদ ও তার শেয়ারদার আলমের সাথে যোগাযোগ করার জন্য তাদেও ০১৭৪৫৫৭৮৬৫৫ও ০১৭৭০৩৭৪৭৩৭ নম্বর মুঠোফোনে চেষ্টা করেও মুঠোফোন দুটি বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ভুক্তভোগী জাকারিয়া ও জনি বলেন আমরা আলম ও মুরসেদকে বিশ্বাস কওে আত্মীয় জোবুর মাধ্যমে টাকা দিয়ে চরম হয়রানীর শিকার হয়েছি এবং আমাদের সম্বল শুধু চোখের জল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানান, টাকা দেয়ার ডকুমেন্টসহ আইনের আশ্রয় নিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা যেতে পারে।