• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
বলিউড তারকা কারিনাকে ‘বয়স্ক’ বলে বিপাকে পাকিস্তানি অভিনেতা ঐক্যবদ্ধভাবে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে: মির্জা ফখরুল শিক্ষার্থীদের পিকনিক বাসের ধাক্কায় মিনিবাসের দুই যাত্রী নিহত কীভাবে ঢুকল আরও ৬০ হাজার রোহিঙ্গা যে ব্যাখ্যা দিলো পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সহ-সমন্বয়ক ঢাবি শিক্ষার্থী দুই দিন ধরে নিখোঁজ হাসিনা-জয়ের বিরুদ্ধে ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচারে দুদকের অনুসন্ধান শুরু মালাক্কায় আন্তর্জাতিক হালাল ফেস্টিভাল’এ বাংলাদেশ হামাস-ইসরাইল যুদ্ধবিরতি আলোচনা ৯০ শতাংশ সম্পন্ন এবার যা যা নিয়ে এলো পাকিস্তানি সেই জাহাজে দিল্লির সব স্কুলে অবৈধ অভিবাসী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করতে নির্দেশ

কক্সবাজার সফরে খালেদা জিয়া

আপডেটঃ : শনিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৭

অভ্যর্থনার তোরণ ব্যানারে সজ্জিত ৪শ’ কিলোমিটার সড়ক পথ
মিয়ানমার থেকে প্রাণভয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প পরিদর্শন ও তাদের মাঝে ত্রাণবিতরণ করতে আজ থেকে চারদিনের সফরে কক্সবাজার যাচ্ছেন। বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বিশেষ নেত্রীবৃন্দসহ সকাল ১০টায় সড়ক পথে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজারের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন। প্রায় ২ বছর পরে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ঢাকার বাহিরে এ সফর করছেন। তার সফরকে ঘিরে দেশের পূর্বাঞ্চালের ১০ জেলায় কয়েকলাখ নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা নেত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে পথে পথে তোরণ, ব্যানার, পেস্টুুন দিয়ে সাজিয়ে রেখেছেন প্রায় ৪শ’ কিলোমিটার সড়ক পথ। নেত্রীর যাওয়ার আসার পথে নেতাকর্মীদের সমর্থকেরা ব্যাপক শোডাউন করবেন। নেত্রীর যাত্রাপথে এসব জেলার দায়িত্বশীল নেতাদের সতর্ক থাকার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। অপরদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গত বৃহস্পতিবার একটি অনুষ্ঠানে বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘ সড়ক পথে কক্সবাজার সফর নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছিলেন, তার সড়কপথে আসা-যাওয়ার মধ্যে কিছু ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছি। দয়া করে রাস্তা দখল করে সভা সমাবেশ রাজনীতির নামে কোন ষড়ষন্ত্র করবেন না। এটা আমার নির্দেশ নয়। বিএনপির নেত্রীকে অনুরোধ করছি। এদিকে গতকাল বিএনপির কেন্দ্রীর প্রচার সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, কেন্দ্র থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে পথে পথে শো-ডাউন করলেও কোন ভাবে খালেদা জিয়ার গাড়ীর বহরে পথ থেকে গাড়ীযুক্ত হতে পারবেন না। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার সড়ককে গাড়ী বহর স্বল্প করা হবে। ঐ স্থানে যানজট বা লোক সমাবেশ বাড়লে ত্রাণ কাজে সমস্যা সৃষ্টি হবে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত নেতাকর্মী সমর্থকেরা শোডাউন করলে আমরা বাধা দিতে পারি না। জনগণকে যারা ভয় পায় তারাই এ ষড়ষন্ত্র করছে। বিএনপির চেয়ারপার্সনের একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার ইনকিলাবকে জানান, আজ সকাল ১০টায় বেগম খালেদা জিয়া ঢাকা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওয়ানা হবেন। ৩০ শে অক্টোবর তিনি কক্সবাজারের বালুখালীতে বোয়ালমারি ও জামতলি ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন। ৩১শে অক্টোবর ঢাকার উদ্দেশ্যো রওয়ানা হবেন। এদিকে নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ব্রাহ্মনবাড়িয়া, চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে নেতাকর্মীরা বেগম খালেদা জিয়ার সফর সফল করতে ব্যাপক সভা সমাবেশ করবেন। সম্ভাব্য প্রার্থীরা দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য তোরণ, ব্যানার দিয়ে সড়কপথ সাজিয়ে তুলছেন। এসব জেলায় নেত্রীর আগমনকে ঘিরে ব্যাপক উদ্দীপনা বিরাজ করছে।
চট্টগ্রামে স্বত:স্ফূর্ত স্বাগত জানাবে জনতা : নোমান
আমাদের চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, বিএনপি চেয়ারপার্সন ও বিশ দলীয় জোটের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ শনিবার চট্টগ্রাম আসছেন। ঢাকা থেকে সড়কপথে চট্টগ্রাম আসার পথে তাকে বিপুল সংবর্ধনার প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি। গতকাল (শুক্রবার) চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে এ উপলক্ষে এক বিশাল কর্মী সমাবেশে নেতারা জানান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বরণ করে নিতে চট্টগ্রাম প্রস্তুত। তার আগমনের পথে পথে স্বতঃস্ফূর্ত জনতার ঢল নামবে বলেও প্রত্যাশা করেন বিএনপি নেতারা। ওই কর্মী সমাবেশে যোগ দিতে আসা কয়েকটি মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি চট্টগ্রামের প্রবেশ পথ থেকে শুরু করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বেগম খালেদা জিয়াকে বরণে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। সিটি গেইট থেকে নগরীর সার্কিট হাউস পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে তাকে বিপুল সংবর্ধনা দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে নগর বিএনপি। মজলুম রোহিঙ্গাদের প্রতি সহমর্মিতা ও ত্রাণসামগ্রী বিতরণের মতো মানবিক কর্মসূচিতে আসছেন বিএনপি নেত্রী। আর এ কারণে ৫ বছর পর চট্টগ্রামে তার আগমন হলেও কোন রাজনৈতিক কর্মসূচি রাখা হয়নি। তবে তার চট্টগ্রাম সফরকে ঘিরে নেতাকর্মীরা এখন দারুণ উজ্জীবিত। এ অঞ্চলের বড় বড় নেতারাও নেত্রীর আগমনে ব্যাপক শোডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছেন। তাদের প্রায় সবাই এখন চট্টগ্রামে অবস্থান করছেন।
আজ শনিবার রাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে রাত্রীযাপন করবেন বেগম জিয়া। কাল সকালে তিনি সার্কিট হাউস থেকে সড়কপথে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। যাওয়ার পথে নগরীর কাজির দেউড়ি থেকে শুরু করে নিউমার্কেট, কোতোয়ালী, ফিরিঙ্গিবাজার হয়ে কর্ণফুলী সেতু এলাকা পর্যন্ত সড়কে তাকে ব্যাপক সংবর্ধনা জানাবে বিএনপি। পটিয়া থেকে লোহাগাড়া পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুতি নিয়েছে দক্ষিণ জেলা বিএনপি। কক্সবাজার পৌঁছে রাত্রীযাপন শেষে পরদিন সকালে বেগম জিয়ার উখিয়া টেকনাফে রোহিঙ্গা শিবিরে যাওয়ার কর্মসূচি রয়েছে। সোমবার বিকেলে সড়কপথে ফের তিনি কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম আসবেন। চট্টগ্রাম পৌঁছতে দেরি হলে ওই রাতও তিনি চট্টগ্রামে অবস্থান করবেন এবং পরদিন সকালে ঢাকায় ফিরে যাবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান।
স্বাগত মিছিলে পুলিশি বাধা
বেগম খালেদা জিয়ার আগমন উপলক্ষে নগরীতে স্বাগত মিছিলে বাধা দিয়েছে পুলিশ। গতকাল বিকেলে নাসিমন ভবন চত্বরে আয়োজিত কর্মী সমাবেশে যোগ দিয়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে আসেন নেতাকর্মীরা। এরকম কয়েকটি মিছিলে পুলিশ বাধা দেয়। নগরীর নূর আহমদ সড়কে পুলিশের সাথে বিএনপির কর্মীদের ধাক্কাধাক্কির ঘটনাও ঘটে। মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় স্বাগত মিছিল বের করে বিএনপি। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা এবং দক্ষিণ জেলা বিএনপিও স্বাগত জানিয়ে মিছিল সমাবেশে করেছে। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে স্বত:স্ফূর্তভাবে স্বাগত জানাবে হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মী ও চট্টগ্রামের জনগণ। চট্টগ্রাম থেকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং চট্টগ্রামে শহীদ জিয়া শাহাদাত বরণ করেছিলেন। সেই সূত্রে চট্টগ্রামের মানুষের সাথে জিয়া পরিবার এবং বিএনপির সাথে রয়েছে নিবিড় সম্পর্ক। চট্টগ্রামের মাটি হচ্ছে খালেদা জিয়ার দূর্ভেদ্য ঘাঁটি। খালেদা জিয়ার চট্টগ্রাম আগমন উপলক্ষে বিএনপি নেতাকর্মীরা খুবই উচ্ছ¡সিত এবং অধীর আগ্রহে নেত্রীর জন্য অপেক্ষা করছে। গতকাল নগরীর নাসিমন ভবনস্থ বিএনপি কার্যালয় চত্বরে বেগম খালেদা জিয়ার সফর উপলক্ষে মহানগর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত এক বিশাল কর্মী সমাবেশে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে সরকার যখন সিদ্ধান্তহীনতায় ছিলেন, তখন সর্বপ্রথম দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আহবান জানিয়েছিলেন এবং রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতীয় ঐক্যমত প্রতিষ্ঠার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন।
প্রধান বক্তা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া রোহিঙ্গাদের দুঃখ-দুর্দশা সরেজমিনে দেখার জন্য টেকনাফ যাচ্ছেন। বৃহত্তর চট্টগ্রামের বিএনপি নেতাকর্মীরা বেগম খালেদা জিয়াকে সুশঙ্খলভাবে স্বাগত জানাবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, সরকার রোহিঙ্গাদের নিয়ে অপরাজনীতি করছে। খালেদা জিয়ার নির্দেশে বিএনপি নেতাকর্মীরা শুরু থেকে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে রোহিঙ্গাদে পাশে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ অতিথি বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, নেত্রীর আগমনের অপেক্ষায় বৃহত্তর চট্টগ্রামের বিএনপি নেতকাকর্মীরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষার প্রহর গুনছে। খালেদা জিয়ার এই সফরের মাধ্যমে উজ্জীবিত হবে বিএনপি নেতাকর্মীরা। মহানগর বিএনপির সভাপতি ডাঃ শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান, সহ-সভাপতি এম এ সবুর. এডভোকেট আবদুস সাত্তার প্রমুখ। এছাড়া সমাবেশে মহানগর বিএনপি, উত্তর জেলা বিএনপি ও মহানগরীর বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। সমাবেশে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে যোগদান করেন।
এদিকে বিশ দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানিয়ে নগরীতে মিছিল করে শরিক দল জাগপা। নগর জাগপার সভাপতি আবু মোজাফফর মোঃ আনাছের নেতৃত্বে মিছিলে অংশ নেন জাগপার মহানগর সাধারণ সম্পাদিক তানিয়া আক্তার রূপা, মুজাহিদুল ইসলাম, মনির আহমদ সেলিম, মাওলানা এনামুল হক জিহাদী প্রমুখ।
আমাদের কক্সবাজার ব্যুরো জানায়, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কাল কক্সবাজার আসার খবরে উজ্জীবিতহয়ে উঠেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। জেলার সর্বত্র বিএনপি নেতা-কর্মীদের মাঝে এই চাঙ্গাভাব দেখা যাচ্ছে। গত কয়েকদিন থেকেই নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সরগরম হয়ে ওঠেছে জেলা বিএনপি কার্যালয়। নেত্রীর আগমনে দলীয় কার্যালয়ে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক প্রাণ চঞ্চল নেতাকর্মীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
বিএনপিসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রস্তুতি চলছে বেগম খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানানোর। আগামীকাল বিএনপির চেয়ারপার্সন চট্টগ্রাম হয়ে সড়ক পথে কক্সবাজার পৌছেঁ ৩০ অক্টোবর তিনি উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন ও সেখানে ত্রাণ বিতরণের কথা রয়েছে। ২০ দলীয় জোট নেত্রীর এই সফরকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা-কর্মী ছাড়াও প্রাণ চঞ্চল দেখা যাচ্ছে ২০ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীদের মাঝেও।
এপ্রসঙ্গে কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী বলেন, দীর্ঘদিন পর চেয়ারপর্সনের কক্সবাজার আগমনে বিএনপি নেতা-কর্মী ছাড়াও ২০ দলের নেতা-কর্মীরাও বেশ উজ্জীবিত।
এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কক্সবাজার আগন সফল করতে প্রস্তুতি সভা করেছে জেলা বিএনপি। এছাড়াও খালেদা জিয়ার সফর সফল করতে পৃথক পৃথকভাবে প্রস্তুতি সভা করেছে চকরিয়া-পেকুয়া বিএনপি ও রামু, উখিয়া বিএনপি।
জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক হুইপ শাহজাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জেলা বিএনপির এক সভায় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি লুৎফুর রহমান কাজল, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামীম আরা স্বপ্নাসহ পৌরসভা, বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপি-অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সভায় বেগম জিয়ার সফর উপলক্ষে অভ্যর্থনা উপ-কমিটি, শৃঙ্খলা উপ-কমিটি, আপ্যায়ন উপ-কমিটি, অর্থ উপ-কমিটি, মিডিয়া উপ-কমিটি এবং ত্রাণ উপ-কমিটিসহ ৬টি উপ-কমিটি গঠন করা হয় । জেলা বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা কমিটিগুলোর তত্ত¡াবধান করছেন।
সভায় চকরিয়ার বরইতলী থেকে শুরু করে জেলা প্রতিটি এলাকায় বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে ব্যাপক সংবধিত করার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এব্যাপারে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে জেলার ১৪টি সাংগঠনিক ইউনিটকে।
এদিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ উপলক্ষে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কক্সবাজার সফরকে নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতু ও সড়ক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এর বক্তব্যের জবাবে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি লুৎফুর রহমান কাজল বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ম্যাডাম খালেদা জিয়া রোহিঙ্গাদের প্রতি সহানুভূতি ও তাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করতে কক্সবাজার আসছেন। তিনি তো কোন জনসভা করতে আসছেন না। এছাড়াও রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে সরকার। সেখানে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশের গর্বিত সেনা বাহিনী। এতে রাজনীতি আর ষড়যন্ত্রের কি আছে ?
উল্লেখ্য, খালেদা জিয়া কাল সকাল ১০ টায় সড়ক পথে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার এর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেবেন। কক্সবাজার জেলার প্রবেশদ্বার বরাইতলী এলাকা থেকে তাঁকে অভ্যর্থনা জানিয়ে কক্সবাজার নিয়ে আসা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ