• রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০২ অপরাহ্ন
শিরোনাম:

বীরগঞ্জে নতুন সাজে সেজেছে শিমুলের সৌন্দর্যে প্রকৃতি

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ, ২০২৪

শিমুলে যেন লালশাড়ি পড়েছে দিনাজপুরের-বীরগঞ্জ মহাসড়ক। কালের বিবর্তনে ঋতুরাজ বসন্তে এখন আর যেখানে সেখানে চোখে পড়ে না রক্ত লাল শিমুল গাছ। সেই মূল্যবান শিমুল গাছ এখন অনেকটাই বিলুপ্তির পথে।

এই উপজেলায় বসন্তের শুরু থেকেই রক্তিম রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে শিমুল গাছের ফুল। শুধু ফুল আর ফুল -পাতা নেই, ফুটন্ত এ ফুল যেন সকলের দৃষ্টি কেড়ে নিয়েছে। আর এই রক্ত লাল থেকে সাদা ধূসর হয়ে তৈরি হয় তুলা। কিন্তু এখন বিভিন্ন প্রযুক্তিতে তুলা তৈরি ও ফোম ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় শিমূল তুলা ব্যবহার অনেকটাই কমে গেছে।

তবে এখনও দিনাজপুর-বীরগঞ্জ মহাসড়কের ২৮ কিলোমিটার রাস্তার দুই ধারে শোভা বাড়িয়ে আছে লাল টুকটুকে শিমুলের বন। এই মহাসড়কের বিভিন্ন গাছের ফাঁকে ফাঁকে শতাধিক শিমুল গাছ রয়েছে। শুধু ফুল আর ফুল, পাতা নেই, ফুটন্ত এ ফুল দৃষ্টি কাড়ে নেয় সবার। পাখিরা উড়ে এসে বসছে লাল শিমুলের ডগায়। ঝড়ে পড়া শিমুলের লাল গালিচার রূপ দেখা যায় শিমুলতলায়।

মোহনীয় রূপে প্রকৃতিকে রাঙিয়েছে শিমুল। যা পথচারীসহ বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীদের দৃষ্টি কাড়ছে। ফাগুনের শেষে বসন্তের আবহে গাছে গাছে পরিপক্ব শিমুল ফুল। কাকডাকা ভোরে রাস্তায় ঝরে পড়া ফুলগুলো দেখে মনে অন্যরকম অনুভূতি জাগে। মনে হয় যেন রক্তিম পথ। শিমুল ফুল না ফুটলে যেন বসন্ত আসে না। বাংলাদেশের ভৌগোলিক পরিবেশের সঙ্গে সংস্কৃতি চর্চারও একটি যোগ সূত্র রয়েছে।

গাছে গাছে ফুটন্ত এই শিমুলের লাল রঙ যেন চারদিকে ছড়িয়ে দিচ্ছে। এরপর এই রক্ত লাল থেকে সাদা ধূসর হয়ে তৈরি হয় তুলা। শিমুলের তুলার রয়েছে আলাদা কদর। কিন্তু এখন বিভিন্ন প্রযুক্তিতে তুলা তৈরি ও ফোম ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় শিমুল তুলা ব্যবহার অনেকটা কমে গেছে।

প্রায় দুই দশক আগে গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় গাছে গাছে শোভা বর্ধন করতো এই শিমুল ফুল। তবে কালের বিবর্তনে ঋতুরাজ বসন্তে এখন আর যেখানে সেখানে চোখে পড়ে না রক্তলাল শিমূল গাছ। মূল্যবান শিমুল গাছ এখন প্রায় বিলুপ্তর পথে।

বীরগঞ্জ পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বনমালী রায় বলেন, বলাকার মোড়ের কালী মন্দিরের পিছনে একটি ঐতিহাসিক শিমূল গাছ ছিল, সেটি অযত্নে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। শিমূল গাছ ঔষধি গাছ হিসেবে পরিচিত। গ্রামের মানুষ এক সময় আখের গুড় তৈরিতে শিমূলের রস ও কোষ্ঠ কাঠন্য নিরাময়ে শিমূল গাছের মূলকে ব্যবহার করতো।

গোলাপগঞ্জ হাট এলাকার দরপো চন্দ্র রায় বলেন, গ্রাম বাংলার মানুষদের এই শিমূল গাছ অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এনে দিত। মানুষরা এই শিমূলের তুলা কুড়িয়ে বিক্রি করতো। অনেকে নিজের গাছের তুলা দিয়ে বানাতো লেপ,তোষক,বালিশ। কিন্ত আধুনিকতার ছোঁয়ায় এখন আর তেমন চোখে পড়ে না শিমূল গাছ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ