• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৭ অপরাহ্ন

রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রস্তুতি

আপডেটঃ : শনিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৭

রংপুর অফিস॥
ডিসেম্বরের শেষ ভাগে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। এ লক্ষ্যে মঙ্গলবার কমিশন সভায় কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।তিনি বলেন, আইনি জটিলত না এলে ডিসেম্বরেই রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন করার প্রস্তুতি রয়েছে। এজন্য তফসিল ঘোষণা করা হবে নভেম্বরে।আগামী বছরের শেষ দিকে একাদশ সংসদ নির্বাচন করার রোডম্যাপ রয়েছে ইসির। জাতীয় নির্বাচনের আগেই রংপুর সিটি করপোরেশনসহ নির্বাচন উপযোগী ছয় সিটির ভোট শেষ করতে হবে এই সাংবিধানিক সংস্থাকে।ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নভেম্বর মাসের মাঝামাঝিতে তফসিল ঘোষণা করে ডিসেম্বরের শেষ দিকে রংপুর সিটিতে ভোটের মাধ্যমে ছয় সিটির ভোট শুরু করতে চায় ইসি। এক্ষেত্রে ডিসেম্বরের ২১ বা ২৮ তারিখে ভোটের প্রাথমিক তারিখ রাখা হচ্ছে। তবে তফসিলের ওপর নির্ভর করছে ভোটের তারিখ। যেই তারিখেই ভোট হোক, ৪০-৪৫ দিন হাতে রেখেই তফসিল ঘোষণা করবে ইসি।এ ছাড়া রংপুরের ভোটের দিন একই সঙ্গে ১২ পৌরসভা এবং ৩৪ ইউনিয়ন পরিষদেও ভোট করার চিন্তা চলছে। এ ছাড়া রংপুর সিটিতে পরীক্ষামূলকভাবে দুটি ওয়ার্ডে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করারও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে সর্বপ্রথম এই সিটি নির্বাচনে লড়াইয়ে নামবে নৌকা-ধানের শীষ। এর পরে আরও পাঁচ সিটি নির্বাচন হবে ধারাবাহিকভাবে। দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ায় সবার নজর থাকছে সিটির ভোটের দিকে। রংপুর সিটি নির্বাচন হয়েছিল ২০১২ সালের ২০ ডিসেম্বর। প্রথম সভা হয়েছে ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ। আইন অনুযায়ী এ সিটির মেয়াদ পূর্ণ হবে ২০১৮ সালের ১৮ মার্চ, তাই এর ১৮০ দিন পূর্বে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেই হিসাবে গত ২০ সেপ্টেম্বর এ নির্বাচনের দিন গণনা শুরু হয়েছে। আগামী বছরের ১৮ মার্চের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। এ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের জন্য সব প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে। সংশি¬ষ্ট এলাকার ভোটার তালিকা প্রস্তুতসহ নির্বাচনী মালামাল সংগ্রহের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এমনকি ইসি সচিবালয় একটি সংক্ষিপ্ত কর্মপরিধিও প্রস্তুত করছে। মঙ্গলবার কমিশন সভার এজেন্ডায় রংপুর সিটি করপোরেশনের বিষয়টি রয়েছে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে। নির্বাচন কমিশনও সংসদের আগে রংপুরসহ ছয় সিটি নির্বাচন করে রাজনৈতিক দল ও জনগণের আস্থা অর্জন করতে চায়। তারাও সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আগামী বছর নভেম্বরের মাঝামাঝিতে একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ডিসেম্বরের শেষে অথবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোট গ্রহণের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে তারা। তবে তার আগে ছয় সিটি ও আটকে থাকা পৌরসভা ও ইউপি নির্বাচনও শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সাংবিধানিক এ সংস্থাটি। এক্ষেত্রে চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে ছয় সিটি করপোরেশন নির্বাচন শেষ করার পরিকল্পনা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সূত্র জানিয়েছে, চলতি বছরের ডিসেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বার্ষিক পরীক্ষার পরপরই রংপুর ও আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলে গাজীপুর এবং এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার পরপরই মে বা জুন মাসে বাকি সিটি করপোরেশনে ভোট কার্যক্রমের পরিকল্পনা রয়েছে ইসির। আইন অনুযায়ী, সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপযোগী হয় মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৮০ দিন আগে। জাতীয় সংসদের মতো সিটি করপোরেশনের মেয়াদ হিসাব করা হয় মেয়রের শপথগ্রহণের পর অনুষ্ঠিত প্রথম সভা থেকে। প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর হচ্ছে সিটি করপোরেশনের মেয়াদকাল।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ