• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০৪ অপরাহ্ন

বাস উৎপাদন দেশেই করতে চায় বিআরটিসি

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) বহরে বর্তমানে যাত্রীবাহী বাস রয়েছে ১ হাজার ৩৫০টি। এগুলো সুইডেন, জাপান, চীন, কোরিয়া ও ভারতের মতো দেশ থেকে কিনেছে রাষ্ট্রায়ত্ত পরিবহন সংস্থাটি। বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ৩৫০টি সিএনজিচালিত ও ভারত থেকে ১০০টি বিদ্যুচ্চালিত বাস সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি। এর বাইরে বিআরটিসি চাইছে, আমদানি করা বিভিন্ন যন্ত্রাংশ সংযোজন করে নিজেরাই বাস উৎপাদন করতে। সংস্থাটির কর্মকর্তারা বলছেন, প্রাথমিকভাবে চার-পাঁচটি বাস উৎপাদনের উদ্যোগ নেয়া হবে। এ কার্যক্রমের সফলতার ভিত্তিতে পরবর্তী সময়ে বাস উৎপাদনের পরিধি বাড়ানো হবে।

বিষয়টি নিয়ে গতকাল এক মতবিনিময় সভায় গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন বিআরটিসির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘চেসিস বানানোর সক্ষমতা এখনো আমাদের হয়নি। এই চেসিস বাদ দিয়ে পুরোপুরি একটি গাড়ি বানানোর শতভাগ সক্ষমতা বিআরটিসির রয়েছে। হয়তো আমরা প্রগতির (প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ) কাছ থেকে চেসিস নিতে পারি বা আমদানি করতে পারে। আমরা আগামী পর্ষদ সভায় (বিআরটিসির পরিচালনা পর্ষদ) এ সিদ্ধান্ত নেব। সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর প্রাথমিকভাবে চার-পাঁচটি বাস তৈরির কাজ শুরু করব।

বিআরটিসির চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘২০১২ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া গাজীপুরের সমন্বিত কেন্দ্রীয় মেরামত কারখানা পুনরায় চালু করা হয়েছে। পুরনো মেশিনারিজ পরিবর্তন করে নতুন মেশিনারিজ সরঞ্জাম যুক্ত কারখানার সক্ষমতা বহুগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। ঢাকার তেজগাঁওয়ের কেন্দ্রীয় মেরামত কারখানা আধুনিকায়ন করা হয়েছে। এসব কারখানার কর্মীদের উন্নত প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তোলা হয়েছে। বিআরটিসির নিজস্ব কারখানায়, নিজস্ব কর্মীদের দিয়ে বাস তৈরির সক্ষমতা তৈরি হয়েছে। আমরা বাস তৈরি করে সেই সক্ষমতার জানান দিতে চাই।

বিআরটিসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘আগের বিআরটিসি আর এখনকার বিআরটিসির কার্যক্রম এক নয়। পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রশিক্ষণের জন্য গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে একদিনে ১০ হাজার লোকের ট্রেনিং দেয়া সম্ভব। প্রশিক্ষণ আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে ৬ হাজার টাকা দিয়েও যেখানে প্রশিক্ষণের জন্য লোক পাওয়া যেত না, সেখানে এখন ৮ হাজার টাকা দিয়েও প্রশিক্ষণের জন্য প্রতিযোগিতা চলছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের মূল্যায়নের স্বার্থে চেয়ারম্যান পদক চালু করা হয়েছে, এতে করে কাজের অগ্রগতি বেড়েছে। যারা যথাযথভাবে কাজ না করেও সবচেয়ে ভালো ছিল, তাদের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ জন কর্মকর্তাও রয়েছেন। চালু করা হয়েছে শ্রান্তি বিনোদন ভাতা, যা তিন বছর পরপর দেয়া হবে। কর্মচারীদের ছেলেমেয়েদের জন্য শিশুবৃত্তি চালু করা হয়েছে। গাড়ি বাড়ানোর সক্ষমতা যাচাইয়ে কাজ অব্যাহত রয়েছে। আর বিআরটিসির বাস রাজধানীতে রাত ১০টা পর্যন্ত চালু রাখার বিষয়ে ভেবে দেখা হবে।

 

সেবার মান বাড়িয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) এখন লাভজনক প্রতিষ্ঠানে দাঁড়িয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে সড়কে চলাচলকারী বিআরটিসি গাড়িতে শৃঙ্খলা ফেরানো হয়েছে। ফলে ডাবল হয়েছে যাত্রীর সংখ্যা, একই সঙ্গে আয় বেড়েছে দ্বিগুণ।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ