চলে যাওয়ার মধ্যে প্রেমের আকুতি। কাছে পাওয়ার আকাঙ্খা। নিজের মধ্যে ভালোবাসাকে খুঁজে বেড়ানো। ভালোবাসাকে ভালোবাসা দিয়েই বোঝার এক অনন্য পরিক্রমার গল্প যেনো এটি।
একটি গানের মধ্যে এমন সব উপাদান নিহিত রয়েছে। যাকে বলা যেতে পারে প্রেমময় এক শৈল্পিক আঁচর। অনুভূতির শিহরিত অনুশীলন। কাছে পাওয়ার আকুল নিবেদন, যেখানে প্রেমিকা প্রেমিককে উদ্দেশ্য করে গাইছেন, ‘বারে বারে তুই কেন চলে যাস, বারে বারে তুই ফিরে ফিরে চাস। সন্ধ্যে নামলে এই বুকে…’। ভালবাসার সন্ধ্যা-সকাল কিংবা রাতের গভীর অনুভূতিগুলো ব্যক্ত করা হয়েছে এই গানে। অনুভূতির স্পর্শগুলোকে গভীরভাবে স্মৃতিচারণ করা হয়েছে।
ঈগল মিউজিকের ব্যানারে সুপ্রতিমের সম্পাদনা করা এই ভিডিওতে প্রেমিকের চলে যাওয়ার কিংবা ফোনে কথা বলার সময় ব্যাকুল এক প্রেমময় দৃশ্যের অবতারণা রয়েছে। গানটির সঙ্গীত শিল্পী ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি ধুপগুড়ির মেয়ে নাসরিন তার কণ্ঠে নিজেকে হারানো এবং ‘খুঁজে পাওয়ার’ ছন্দময় প্রতিরূপ যেনো বিকশিত করেছেন। ভিডিওটিতে মূল চরিত্রে রয়েছেন নাসরিন ও অজয়, যেখানে অসাধারণ সৌন্দর্যমণ্ডিত দৃশ্যায়নের অপরূপ চিত্র উঠে এসেছে। এই গানের কথা এবং প্রকৃতি যেনো হৃদয়ের কথাগুলো বলে দিচ্ছে। সবকিছু মিলে কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ-এর ধ্বনিতে বলতে ইচ্ছে করে, ‘বেদনার পায়ে চুমু খেয়ে বলি এইতো জীবন’।
দুই বাংলার সেনাদের আর তাদের পরিবারের আত্মত্যাগ নিয়ে বাংলাদেশের ঈগল মিউজিক প্রযোজিত নবাগত কণ্ঠশিল্পী নাসরিনের বাংলা আধুনিক গান ‘বারে বারে’ শুভ মুক্তি পেয়েছে। গত ১৭ অক্টোবর দুই দেশে যৌথভাবে এই গানের অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচিত হয়।
গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন নবাগত কন্ঠশিল্পী নাসরিন। গানের কথা ও সুর করেছেন ডিউ আর সঙ্গীত আয়োজনে ছিলেন পঞ্চম চৌধুরী। বাংলাদেশের বৃহৎ সংগীত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘ঈগল মিউজিক’ এর এই গানটিতে প্রযোজনা করেছেন জয়ন্ত দাম, নির্দেশনায় ছিলেন অজয় প্রধান।
ইতোমধ্যেই ঈগল মিউজিক এর ইউটিউব চ্যানেলে গানটি ব্যাপক সারা ফেলেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও গানটি ভাইরাল হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে কন্ঠশিল্পী নাসরিন বলেন, ‘দার্জিলিংয়ে নিহত পুলিশ সাব ইন্সপেক্টর অমিতাভ মালিকের স্মৃতিকে উৎসর্গ করে গানটি গেয়েছি। গানটি দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করায় আমার দায়বদ্ধতা আরও বেড়ে গেছে। বাংলাদেশের ঈগল মিউজিক এর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি সবার সহযোগিতা আর আশীর্বাদ প্রত্যাশী।’
নবাগত কণ্ঠশিল্পী নাসরিন বর্তমানে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগীত নিয়ে গবেষণারত রয়েছেন। এ ছাড়া তিনি গতবছর সংগীত বিষয়ে কলকাতার নন্দণ থেকে InteationalDraft এর তরফ থেকে লোকগানের জন্য বিশেষ সম্মান লাভ করেন।