পিরোজপুরে ফেরিতে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আরেকটি বাস সজোরে ধাক্কা লাগে। এতে সামনে থাকা বাসটির দুই চাকাসহ প্রায় অর্ধেক অংশ কঁচা নদীর দিকে ঝুঁকে পড়ে। এ সময় জানালা দিয়ে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রাণ রক্ষা করেন ২০ বাসযাত্রী।
বুধবার (২৪) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে পিরোজপুর-মঠবাড়িয়া রুটে চলাচলকারী একটি যাত্রীবাহী বাস চরখালী প্রান্তের ফেরিতে ওঠার পর এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে পিরোজপুর-মঠবাড়িয়া রুটে চলাচলকারী একটি যাত্রীবাহী বাস চরখালী প্রান্তের ফেরিতে ওঠে। এরপর ওই বাসটিকে পিছন থেকে মেট্রোপলিটন পরিবহনের যাত্রীবাহী আরেকটি বাস সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে সামনে থাকা বাসটির সামনের দুই চাকাসহ প্রায় অর্ধেক অংশ নদীর মধ্যে ঝুঁকে পড়ে। তখন বাসে থাকা ২০ যাত্রী জানালা দিয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণ রক্ষা করেন। তবে দুর্ঘটনায় বাসের সামনে পার্কিং করা চারটি মোটরসাইকেল নদীতে পড়ে যায়।
বাসের হেলপার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মেট্রোপলিটন বাসটি ফেরিতে ওঠার সময় ব্রেক ফেল করে। আর এতেই ঘটে দুর্ঘটনা। তবে বাসটি নদীতে না পারায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পান যাত্রীরা। দুর্ঘটনার পর ওই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে অতিরিক্ত ৫০ কিলোমিটার পথ ঘুরে বাংলাদেশে-চীন মৈত্রী সেতু পার হয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে ভান্ডারিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবির মোহাম্মদ হোসেন জানান, নদীর দিকে ঝুলে থাকা বাসটিকে উদ্ধারের জন্য ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।