বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী এক মাস ধরে দেশে ফিরেছেন কিন্তু তিনি অফিস আদালতে যাচ্ছেন না কেন? তিনি কি অসুস্থ। যদি তিনি (প্রধানমন্ত্রী) অসুস্থ হয়ে থাকেন তাহলে আইনমন্ত্রীকে বলতে চাই প্রধান বিচারপতিকে যদি অসুস্থতার কারণে ছুটি দিয়ে থাকেন তাহলে সেই কারণেই জনগণের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীকেও ছুটি দিন।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এবং বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলার প্রতিবাদে এ সভার আয়োজন করে জিয়া নাগরিক ফোরাম ( জিনাফ) নামের একটি সংগঠন।
নির্বাচন প্রসঙ্গ টেনে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ২৫ জানুয়ারি ১৯৭৫ সালে নির্বাচনকে প্রথম বাক্সে বন্দি করা হয়েছে পরে ৭ নভেম্বর তা উদ্ধার হয়। আবার ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্রকে গুম করা হয়েছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রীসহ ক্ষমতাসীন দলের নেতারা ষড়যন্ত্র করে গণতন্ত্রকে ক্রসফায়ারে দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও গণতন্ত্র কখনো একসাথে হতে পারেনা। তেঁতুল আর দুধ যেমন এক সঙ্গে রাখা যায়না ঠিক তেমনি আ.লীগ আর গণতন্ত্র এ সঙ্গে রাখলে গণতন্ত্র নষ্ট হয়ে যাবে। তাই গণতন্ত্রকে ফিরে পেতে হলে আওয়ামী লীগকে আমাদের সঠিকভাবে শিক্ষা দিতে হবে। দেশে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে কোনো উপদ্রব থাকলে বিএনপি নির্বাচনে যাবেনা। আর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রেখে বাংলা দেশে কোন নির্বাচন হবেনা বলেও হুশিয়ারি দেন তিনি।
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, বেগম খালেদা জিয়া যে দিক দিয়ে যায় সে দিকে জনগণ আসবেই এটাই স্বাভাবিক কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী যখন বিদেশ থেকে আসলেন পুলিশ ছাড়াও প্রায় ৫হাজার লোক সিভিল পোশাকে ছিলো তারপরও লোক হয়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি লায়ন মিয়া মহাম্মদ আনোয়ারের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, দেশ বাচাও মানুষ বাচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, কর্মজীবীদলের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ প্রমুখ।