• রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৫৩ পূর্বাহ্ন

মালিকানা বদলে ভাগ্য বদলের খোঁজে সিলেট

আপডেটঃ : শনিবার, ৪ নভেম্বর, ২০১৭

বিপিএলে সিলেটের রেকর্ড খুব একটা ভালো নয়। মাত্র একবারই প্লে-অফ খেলেছে দলটি। সেটাও ২০১২-১৩ মৌসুমে। সর্বশেষ মৌসুমে সিলেটের পারফরম্যান্স ছিল একেবারে খারাপ। মাত্র তিনটি ম্যাচে জয় পেয়েছিল সিলেটের ফ্যাঞ্চাইজিটি। মালিকানা বদলে আবার নতুন করে দল গুছিয়েছে সিলেট।
ফ্র্যাঞ্চাইজি সংক্রান্ত জটিলতায় বিপিএলের চতুর্থ আসরে বাদ দেয়া হয় সিলেট রয়্যালসকে। তবে পঞ্চম আসরে আবারও ফিরেছে সিলেটের দলটি। আরেকবার মালিকানা এবং নাম বদলে প্রত্যাবর্তন করতে যাচ্ছে তারা। ‘লাগলে বাড়ি, বাউন্ডারি!’ নাম পরিবর্তনের সাথে সাথে বদলেছে সিলেট সিক্সার্সের ¯েø­াগান। আইকন ক্রিকেটার হিসেবে তারা দলে টেনেছে টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট সাব্বির রহমানকে।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) সিলেট সিক্সার্সের পথচলা শুরু হয় ২০১২ সালে। তখন সিলেট রয়্যালস নামে টুর্নামেন্টে অংশ নেয় তারা। প্রথম আসরে সিলেটের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন ইংল্যান্ডের পিটার ট্রেগো। ওই মৌসুমে ১০ ম্যাচের মধ্যে মাত্র দু’টিতে জয়ের দেখা পায় সিলেট।
বিপিএলের দ্বিতীয় আসরে আইকন প্লে­য়ার মুশফিকের নেতৃত্বে ১২ ম্যাচের মধ্যে নয়টিতেই জয়ের দেখা পায় দলটি। কিন্তু কোয়ালিফায়ারে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের বিপক্ষে চার রানে হেরে যায় দলটি। এই হারের পরও সিলেটের সামনে ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করার সুযোগ ছিল। কিন্তু সেটিও কাজে লাগাতে পারেনি মুশফিকের দল। চিটাগং কিংসের বিপক্ষে হেরে সিলেটের স্বপ্নভঙ্গ হয়।
তৃতীয় আসরে সিলেট রয়্যালসের নামকরণ করা হয় সিলেট সুপারস্টার্স। নাম ও মালিকানা বদলালেও এই আসরে সিলেটের নেতৃত্বের ভার চাপে মুশফিকের কাঁধেই। তবে, দলকে পথ দেখাতে পারেননি মুশফিক। প্রথম আসরের মতো আবারও মুখ থুবড়ে পড়ে দলটি। ১০ ম্যাচের মধ্যে মাত্র তিনটিতে জয়ের দেখা পায় সিলেট। তৃতীয় আসরে সেভাবে আলো ছড়াতে পারেননি সিলেটের কোনো ক্রিকেটারও।
তবে এই মৌসুমে স্বয়ং সিলেট সিক্সার্স পদক্ষেপ নিয়েছে অন্ধকার ক্রিকেটে আলো জ্বালাতে। অন্ধকারই-তো! বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল অনেক দিন ধরেই সিলেটশূন্যতায় ভুগছে। রাজিন, অলক, তাপস, এনামুল জুনিয়রদের জায়গা নিতে পারছে না কেউ।
সিলেটের ক্রিকেটের হাহাকারের সময়ে অবশ্য এগিয়ে এসেছে সিলেট সিক্সার্স। ভবিষ্যতের হাসিবুল হোসেন শান্ত, তাপস বৈশ্যদের বের করে আনতে পেসার হান্টের আয়োজন করেছে তারা। সিলেট সিক্সার্সে লিয়াম প্লাঙ্কেট, আন্দ্রে ফ্লেচার, রিচার্ড লেভি, বাবর আজমের মতো তারকারা থাকলেও সিলেটের মূল শক্তি তাদের দেশি ক্রিকেটাররা।
সাব্বির রহমান, নাসির হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, শুভাগত হোম, নাবিল সামাদ। বেশ ভালো ব্যাটিং লাইন আপ বলতে হবে। এর সঙ্গে বাবর আজম, আন্দ্রে ফ্লেচার বা লেভিদের ব্যাটিং শক্তি যোগ হলে টুর্নামেন্টে বাকি দলগুলোকে বেশ ভালোই টক্কর দিতে পারবে সিলেট। তবে তারকা ক্রিকেটার টানার ক্ষেত্রে একটু পিছিয়েই ছিল দলটি। দলে একঝাঁক তরুণ ক্রিকেটার। সে জন্য বাবর আজম, দাসুন শানাকা, চতুরঙ্গ ডি সিলভাদের ওপর ভরসা করতে হচ্ছে সিলেট সিক্সার্সের। নাম বদলে ভাগ্যটা বদল করতে পারে কিন সেটাই এখন দেখার।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ