• সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৫:৪৩ অপরাহ্ন

বানিয়াচংয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত শতাধিক

নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ৯ মে, ২০২৪
ছবি:সংগৃহীত

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। আজ রোববার দুপুরে উপজেলার পইলারকান্দি ইউনিয়নের কুমড়ি দুর্গাপুর গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়।

সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকার অবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে। উভয় পক্ষের শতাধিক লোক আহত হয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বানিয়াচং উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও কুমড়ি দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা ফারুক আমীনসহ তার লোকজনদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল একই গ্রামের অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদসহ তার লোকজনের।

আজ রোববার দুপুরে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে নারীসহ শতাধিক লোক আহত হন। আহতদের মধ্যে ফজলুর রহমান, এরশাদ আলী, নজরুল ইসলাম, রায়হান আহমেদ, রাসেল মিয়া, নিম্মত আলী, মো. নজরুল, সাইমুদ্দিন, জুয়েল চৌধুরী, জাকির হোসেন, সাহিদ মিয়া, ছায়েদ মিয়া, এমদাদুল হক, উসমান মিয়া, বিজয় মিয়া, মাসুদ মিয়া, হুমায়ুন মিয়া, দিপু মিয়া, সায়মন হাসান, কাশেম মিয়া, সালেক মিয়া, রেজাউল, নার্গিস আক্তার, মাহমুদুল হক, রুকন উদ্দিন, রহিছ মিয়া, রোমান মিয়া, নুরুল আমিন, সজিব আহমেদ, মুছা মিয়া, আমিনা বেগম, রায়দর মিয়া, নিহার বেগম, জেসমিন আক্তার, নিশাত রহমান, আবুল কালাম, জাহাঙ্গীর ও জোসনা আক্তারকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সংর্ঘষে আহত ৫ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সেখানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

অ্যাডভোকেট আব্দুল হামিদের দাবি ভাইস চেয়ারম্যানের মানবপাচার মামলার বাদী পক্ষের উকিল তিনি। তাই এ ঘটনার জের ধরেই প্রতিপক্ষের লোকজন তার লোকজনদের ওপর হামলা চালায়। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে বানিয়াচং উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক আমীনকে ফোন দিলে আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁর প্রেসার বেড়েছে। তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চান না।

হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দে আজকের পত্রিকাকে বলেন, খবর পাওয়া মাত্র পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ