বাজারে নতুন স্মার্টফোন নিয়ে এসেছে চীনের প্রযুক্তি কোম্পানি হুয়াওয়ে। আইফোনের সমতুল্য হিসেবে বিবেচিত পিউরা ৭০ মডেলের এই স্মার্টফোন বাজারে আসার পরপরই দ্রুত বিক্রি হয়ে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি আইফিক্সইট ও টেকসার্চ ইন্টারন্যাশনাল বিভিন্ন পণ্যের বিশ্লেষণ প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে। কোম্পানি দুটি রয়টার্সের জন্য পিউরা ৭০ প্রো স্মার্টফোনের ভেতরের যন্ত্রাংশ পরীক্ষা করেছে। চলুন দেখে নেওয়া যাক ফোনটির বিস্তারিত।
চিপ প্রসেসর: পিউরা ৭০ ফোনে উন্নত ‘সিস্টেম-অন-চিপ ‘ব্যবহার করা হয়েছে যা পুরানো কিরিন ৯০০০ চিপের সঙ্গে অনেকটাই মেলে। চীনা চিপ কোম্পানির সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশনেরর (এসএমআইসি), ‘৭ ন্যানোমিটার (এনএম) এন + ২’ নামের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি হুয়াওয়ের মেইট ৬০ সিরিজে ব্যবহৃত চিপ কিরিন ৯০০০।
মেমোরি চিপস: মেইট ৬০-এর মতোই পিউরা ৭০-এ দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানির এসকে হাইনিক্সের তৈরি একটি ‘ড্রাম’ চিপ ব্যবহার করা হয়েছে। তবে, আইফিক্সিট ও টেকসার্চ অনুসারে, পিউরার ‘ন্যান্ড ফ্ল্যাশ মেমোরি চিপের’ কিছু চিহ্ন রয়েছে যা থেকে মনে হয় এটি হুয়াওয়ে অভ্যন্তরীণ চিপ বিভাগ ‘হাই সিলিকনের’ তৈরি। মেইট ৬০ প্রো ফোনে অবশ্য এসকে হাইনিক্সের ‘ন্যান্ড’ চিপই ব্যবহার করা হয়েছিল।
চীনের তৈরি অন্যান্য যন্ত্রাংশ: পিউরা ৭০ প্রো ফোনে হাইসিলিকনের নকশা করা বিভিন্ন দরকারি উপাদানও যোগ করা হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে, ওয়াইফাই ও ব্লুটুথ মডিউল এবং পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট চিপ। অডিও এমপ্লিফায়ার ও এলইডি ফ্ল্যাশ ড্রাইভারের মতো উপাদানগুলো অন্যান্য চীনা সরবরাহকারী যেমন ‘গুডিক্স’ ও ‘অ্যাউইনিক’ এর মতো কোম্পানি থেকে নেওয়া বলে লিখেছে রয়টার্স।
বিদেশে তৈরি যন্ত্রাংশ: বিদেশী সরবরাহকারীদের তৈরি কিছু উপাদানও রয়েছে ফোনটিতে। উদাহরণ হিসেবে, ব্যাটারি চার্জারটি তাইওয়ানের কোম্পানি রিচটেক থেকে নেওয়া হয়েছে। আর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে, মোশন ও রোটেশন সেন্সরটি জার্মান কোম্পানি ‘বোশ’ থেকে নেওয়া হয়েছে। তবে, চীনা নির্মাতারা সম্ভবত এসব অংশ দেশেই তৈরি করতে পারতেন বলে উল্লেখ করেছে আইফিক্সইট। তাই, কেন বিদেশে তৈরি যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হল তা নিয়ে কোম্পানিটি কৌতূহলী হয়ে প্রশ্ন তুলেছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স।