সব বাবা-মা চায় তাদের সন্তান বুদ্ধি-জ্ঞানে অতুলনীয় হয়ে বেড়ে উঠুক। এজন্য বাবা-মায়ের চেষ্টায় ত্রুটি থাকে না।
এক্ষেত্রে বাসায় শিশুদের যেমন স্বাস্থ্য ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো হয়। তেমনি এর পাশাপাশি বিভিন্ন নামিদামি কোম্পানির দুধ কিংবা বুদ্ধি বিকাশের জন্য নানা ধরনের পানীয় খাওয়ানো হয়। তবে কেবল স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ালেই যে সন্তান বুদ্ধিমান হয়ে উঠবে, এর কোনো নিশ্চয়তা নেই। কারণ বুদ্ধি বিকাশের জন্য কেবল খাবারই মুখ্য বিষয় নয়। বাসস্থান, পরিবেশ, পরিবারের সদস্যদের আচরণসহ আরও কিছু বিষয় এর সঙ্গে জড়িত।
নিয়মিত কথা বলুন
শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ কতখানি হয়েছে, তা পরখ করে দেখতে তার সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে কথা বলা জরুরি। তা না হলে বোঝা মুশকিল। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শিশুদের সঙ্গে আলোচনা করলে, সন্তানের ভাবনার গতিবিধি সম্পর্কেও খানিকটা আঁচ পাওয়া যাবে। এছাড়া কোনো বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে শিশুর মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জানার ও কথা বলার আগ্রহ বাড়তে পারে।
সমস্যার মুখোমুখি হতে শেখান
সমস্যা ছাড়া জীবন হয় না। কিন্তু সমস্যা মোকাবিলার ধরন সবার এক রকম হয় না। শিশুদের মাঝেমধ্যে কিছু প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে দিন। খেয়াল রাখুন সে কীভাবে সমস্যাটি মোকাবিলা করছে। এটা একটা অনুশীলন। হাতে-কলমে শিখতে হয়। বুঝিয়ে কিংবা বলে শেখানো যায় না।
ইতিবাচক চিন্তা করতে শেখান
ভালো ও মন্দ নিয়ে পৃথিবী। তাই বলে সব সময় মন্দটা নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। শিশুকেও সেটাই শেখান। ভাবনা যদি ইতিবাচক হয়, তা হলে সব কিছু মসৃণ হবে।
স্বাধীনতা দিন
কিছু কিছু ক্ষেত্রে সন্তানকে স্বাধীনতা দেওয়া জরুরি। না হলে আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে না। জীবনে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস অত্যন্ত জরুরি। যেকোনো কাজ করার ক্ষেত্রে নিজের ওপর ভরসা থাকাটা জরুরি।